হালদার জেলেদের সহায়তায় ‘অসুস্থ ও ছোট’ ছাগল বিতরণের অভিযোগ, অনুষ্ঠান বয়কট

সরকারি সহায়তার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদীর জেলেদের মধ্যে অসুস্থ ও অল্প ওজনের ছাগল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার উপজেলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠান বয়কট করে বিক্ষোভ করেন তারা।
সূত্র জানিয়েছে, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির অংশ হিসেবে উপজেলার ৭০ জন জেলের প্রত্যেককে দুটি করে ছাগল বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এছাড়া, ছাগলের জন্য একটি ঘর, এককালীন খাদ্য ও ওষুধ বাবদ মোট ২৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ এসেছে।
জেলেদের অভিযোগ, প্রকল্প চুক্তিতে আট কেজি ওজনের সুস্থ ছাগলের কথা উল্লেখ ছিল। যে ছাগলগুলো বিতরণের জন্য আনা হয়েছিল, সেগুলোর ওজন ছয় কেজির নিচে এবং দুর্বল, মিশ্র জাতের ও অসুস্থ।
দক্ষিণ মাদার্শার মাদারীকুল জেলেপাড়ার বাসিন্দা শিমুল জলদাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাগলগুলো একেবারেই দুর্বল, অনেকগুলোর গায়ে ঘা। স্থানীয় বাজারে এমন দুটি ছাগলের দাম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা হতে পারে। ঘরটাও খুবই নিম্নমানের। তাই আমরা ছাগল না নিয়েই ফিরে এসেছি।'
একই এলাকার বাসিন্দা দুলাল জলদাস বলেন, 'এই টাকায় ভালো মানের ছাগল ও ঘর পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে খারাপ মানের জিনিস দিয়ে আমাদের বুঝ দিতে চেয়েছে। তাই আমরা অনুষ্ঠান বয়কট করেছি।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী ছাগল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু জেলেরা ছাগল ও ঘরের পরিবর্তে টাকা দাবি করেছে। আমরা না করায় তারা চলে গেছে।'
তবে শিমুল জলদাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা জানতামই না প্রকল্প থেকে কী দেওয়া হবে। টাকা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ। প্রকল্প পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ঘোলাটে করছেন।'
এর আগে একই প্রকল্পের আওতায় দুই স্বজনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।
Comments