পঞ্চগড়ে শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪

পঞ্চগড়ে দেড় বছরের শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, ওই নারীকে তার শিশুসন্তানসহ সড়কের পাশের ঝোপ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ভিকটিম চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দুই থেকে বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মোকসেদুল ইসলাম (৩২) ও সাদেকুল ইসলাম (৩২)।   

হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওই নারী বলেন, 'কয়েক মাস আগে আমার স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাজের সন্ধানে একটি ভাড়া বাড়িতে উঠি। শুক্রবার রাতে আমার ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওকে নিয়ে ইজিবাইকে করে বাবার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। পথে আরেকটা ইজিবাইক আমাদের পেছন পেছন আসতে দেখি।'

রাত ১১টার দিকে পঞ্চগড়-জগদল সড়কের তিনমাইল এলাকায় পৌঁছালে  পেছনে থাকা ইজিবাইক চালক তাদের থামিয়ে নামতে বলেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, 'পেছনে যে গাড়িটা আমাদের ফলো করছিল, তার চালক পরিচিত ছিল। সে গাড়ি থেকে নামতে বলে। নামার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়িতে থাকা কয়েকজন আমার সন্তানসহ কাছের একটি চা-বাগানে নিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করা হয়।

এরই মধ্যে দুই চালক ইজিবাইক নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

ওই নারী বলেন, 'সাহায্যের জন্য চিৎকার করার চেষ্টা করলে ওরা আমার বাচ্চার গলায় ছুরি ধরে আমাকে চুপ থাকতে বাধ্য করে।'

ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের মধ্যে তিনি চারজনকে চিনতে পেরেছেন বলে জানান।

পঞ্চগড় থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান ডেইলি স্টারকে জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে সড়কের পাশে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে সেখানে গিয়ে শিশুটিকে ও অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে দেখতে পেয়ে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দেয় স্থানীয়রা।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, 'রাত প্রায় দেড়টার দিকে ওই নারীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনে পুলিশ। তার শরীরে শারীরিক নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

2h ago