সংকটের অবসান, পূর্ণশক্তির দল নিয়ে দক্ষিণ এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ অংশ নিতে সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে পূর্ণশক্তির দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন (বিটিটিএফ)। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলেও শেষপর্যন্ত সমাধানে পৌঁছেছে দুই পক্ষ। চারজন পুরুষ ও চারজন নারী খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত আট সদস্যের একটি দল ২৮ জুলাই রওনা দেবে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে।

টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ও ৩১ জুলাই, যেখানে কেবল দলগত ইভেন্ট থাকবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। এই ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলই কেবল আগামী বছরের এপ্রিল মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার টিকিট পাবে।

চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে ১৬ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী খেলোয়াড়কে নিয়ে ক্যাম্প শুরু হলেও বাছাই পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। খেলোয়াড়রা ট্রায়ালের পরিবর্তে পুরনো র‍্যাঙ্কিংভিত্তিক নির্বাচন চেয়েছিলেন। তবে ফেডারেশন কাপ (শেষ হয়েছিল ২০২১ সালে) ও জাতীয় লিগ (শেষ হয়েছিল ২০২৩ সালে) অনেক আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ায় ফেডারেশন বর্তমান ফর্ম যাচাইয়ে ট্রায়াল বাধ্যতামূলক করে।

ডেইলিস্টারকে বিটিটিএফ সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন মাকসুদ আহমেদ সনেট বলেন, 'প্রথমে শৃঙ্খলাজনিত কারণে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চেয়েছিলাম। তবে এখন খেলোয়াড়রাও ট্রায়ালের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছে। ক্যাম্পে উন্নতির ছাপও মিলেছে। এই টুর্নামেন্ট খেলোয়াড়দের মূল্যায়নের জন্য ভালো একটি সুযোগ।'

পুরুষ দলের কোচ সৈয়দ মাহমুদুজ্জামান শাহেদ বাস্তবতা মেনে নিয়েই আশাবাদী। ঢাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে বলেন, 'ভারত আমাদের চেয়ে শক্তিশালী—এটা সত্যি। তবে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে আগেও হারিয়েছি। সেসব দলের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা ৫০–৫০।'

নারী দলের খেলোয়াড় সোনম সুলতানা সোমা স্বীকার করেন, শুরুতে অনুশীলনে তেমন তীব্রতা ছিল না। 'আমরা ট্রায়াল পদ্ধতিতে একমত ছিলাম না, তবে এখন মনোযোগ পুরোপুরি প্রস্তুতির দিকেই। ফল যাই হোক, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করব। এই অভিজ্ঞতা আগামী বছরের এসএ গেমসেও কাজে দেবে,' বলেন সোমা।

অন্যদিকে, ক্যাম্প ও পরীক্ষার চাপ একসঙ্গে সামলানো খেলোয়াড় মহিউদ্দিন আহমেদ হৃদয় জানান, 'আমি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠার চেষ্টা করছি এবং দলে অবদান রাখতে চাই। ভারতের বাইরে বাকি দলগুলোর সঙ্গে ব্যবধান বরাবরই খুব সামান্য। তাদের হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।'

রামহিম লিয়ান বমও পড়াশোনার কারণে সময় সঙ্কটে থাকলেও ক্যাম্পে পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন। 'কে কে খেলছে এখনো নিশ্চিত না, তবে ভারতের বাইরে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্ভাবনা অন্তত ৬০–৪০,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

8h ago