সোবার্স-ক্যালিসের পর বিরল কীর্তির তালিকায় স্টোকস

সাদা পোশাকে ২০০ উইকেট আগেই পূর্ণ করেছিলেন বেন স্টোকস। ভারতের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার টেস্টে নামার আগে ৭ হাজার রান থেকে তিনি ছিলেন ১০৯ রান দূরে। দুই বছর পর পাওয়া সেঞ্চুরির কল্যাণে সেই পথ পাড়ি দিয়ে ফেললেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। পাশাপাশি বিরল এক কীর্তিতে নাম লেখালেন ৩৪ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে ৭ হাজার রানের সঙ্গে ২০০ উইকেট নেওয়া মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার স্টোকস। বাকি দুজন হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স (৮ হাজার ৩২ রান ও ২৩৫ উইকেট) ও দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিস (১৩২৮৯ রান ও ২৩৫ উইকেট)।
শনিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচের চতুর্থ দিনে সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্টোকস। আগের দিনের ৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে তিনি তিন অঙ্কে পৌঁছান ১৬৪ বলে। টেস্টে এটি তার ১৪তম শতক। এই সংস্করণে তার সবশেষ সেঞ্চুরিটি ছিল ২০২৩ সালের জুনে। লর্ডসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১৫৫ রানের ইনিংস।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ ছিল স্টোকসের। লং অনে ক্যাচ দিয়ে ভারতের স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হওয়ার আগে তিনি করেন ১৪১ রান। ১৯৮ বল মোকাবিলায় মারেন ১১ চার ও ৩ ছক্কা।
লাল বলের ক্রিকেটের আরও একটি বিরল তালিকায় উঠে গেছে স্টোকসের নাম। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া কেবল পঞ্চম অধিনায়ক তিনি। আগের চারজন ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেনিস অ্যাটকিনসন ও সোবার্স এবং পাকিস্তানের মুশতাক মোহাম্মদ ও ইমরান খান। একই ম্যাচে সেঞ্চুরির পাশাপাশি ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের নজির সব মিলিয়ে আছে ৪১টি।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শতক হাঁকানোর আগে ভারতের প্রথম ইনিংসে নজরকাড়া বোলিং করেন স্টোকস। ৭২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি। একে একে তার শিকার হন ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল, সাই সুদর্শন, শার্দুল ঠাকুর, ওয়াশিংটন সুন্দর ও অংশুল কম্বোজ।
২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল স্টোকসের, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে। তিনি খেলতে নেমেছেন সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের ১১৫তম ম্যাচ। ৩৫.৬৯ ব্যাটিং গড়ে তার রান এখন ৭০৩২ ও ৩১.৬৩ বোলিং গড়ে উইকেট ২২৯টি।
স্টোকস আউট হওয়ার কয়েক ওভারের মধ্যে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস থামে ৬৬৯ রানে। তার আগে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন জো রুট, ফিফটি করেন জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট ও অলি পোপ। প্রথম ইনিংসে ভারতীয়রা করেছিল ৩৫৮ রান। ফলে স্বাগতিকদের মিলেছে ৩১১ রানের বিশাল লিড।
Comments