‘জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থাকলে দেশে মানবাধিকার সমুন্নত থাকবে’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস থাকলে ভবিষ্যতে দেশে মানবাধিকার সমুন্নত থাকবে। এ কারণেই সরকার এতে সম্মতি দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, তারা এখানে কার্যালয় খুলতে চাইছেন, তার মানে এই নয় যে এখন মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ। বরং এমন একটি কার্যালয় থাকলে ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তারা মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সচেতন থাকবে। জাতিসংঘ যেহেতু এ বিষয়ে সক্রিয়, তাই আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। এ কারণেই সরকার সম্মতি দিয়েছে।
বিগত সরকারের সময়ের মানবাধিকার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, 'বিগত সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো আমাদের পক্ষে কাজ করেছে, আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এর ফলে সেই ফ্যাসিবাদী সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।'
বর্তমান সরকারের নীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চায়, কঠোরভাবে কাউকে দমন করতে চায় না। তিনি বলেন, 'অনেক ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও আমরা সহনশীলতার পরিচয় দিই। সমাজে যেসব কারণে মব সৃষ্টি হয় সেগুলোর কারণ বের করতে হবে। এখানে সরকার কোনো বাড়তি দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতি না।'
ইলিশের সরবরাহ কম থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ইলিশ কম ধরা পড়ছে। তবে জনগণের চাহিদা মেটাতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি অব্যাহত আছে।
এ সময় তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়েও বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কথা জানান।
এর আগে ফরিদা আখতার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচএ ভবনে 'জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা' সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসাইন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Comments