চাঁদাবাজি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ নেতাকর্মী ৭ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চার নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার এক আদালত এই আদেশ দেন।

এই চারজন হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না (২৪), সংগঠনটির সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৩), সংগঠনের কর্মী সাকাদ্দৌন সিয়াম (২২) ও সাদমান সাদাব (২১)। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা অওয়ামী লীগের সাবেক ওই এমপির গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডের বাসা থেকে গতরাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সকালে শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ১৭ জুলাই আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের বাসায় এসে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদ বাসায় না থাকায় তার স্বামীর কাছে এই টাকা দাবি করা হয়।

বাদী এজাহারে আরও বলেন, আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের লোক আখ্যা দিয়ে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি আবদুর রাজ্জাক রিয়াদকে ১০ লাখ টাকা দিই।

সিদ্দিক আবু জাফর আরও অভিযোগ করেন, ১৯ জুলাই ওই দলটি আবার এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তবে তিনি পুলিশকে জানালে তারা চলে যায়।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ জুলাই রিয়াদ ও অন্যরা আবার আমার খোঁজে আসে। আমি বাসায় ছিলাম না, কিন্তু নিরাপত্তাকর্মী আমাকে বিষয়টি জানান। তারা বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি আবার পুলিশকে ফোন দিলে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কাজী গৌরব নামের আরেক আসামি পালিয়ে যায়।

এদিকে এই ঘটনার পর সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইব্রাহিম মুন্না, সাকাদ্দৌন সিয়াম ও সাদাবকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত রাতে এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ তথ্য জানায়।

আরও

চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা