কুয়েটে অবশেষে ক্লাস শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্লাস শুরু করা নিয়ে কাজ করছেন অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।

গত ২ দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-প্রশাসন্সহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে নোটিশ ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার যোগাযোগ করা হলে নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাত্র যোগদান করলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান-অচলাবস্থার বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হতে সব অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বিশ্বাস করি কথা বলে আলোচনা করে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।'

তিনি বলেন, 'আজ সকালে শিক্ষকদের সঙ্গে, দুপুরের পর শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলছি। সবাই খুবই পজিটিভ। আমি ঠিক করেছি আগামী পরশু মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু করব। আজ নোটিশ ইস্যু করে দেব যে ক্লাস শুরু হবে।'

উপাচার্য বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শৃঙ্খলা, একাডেমিক পরিবেশ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় প্রয়োজন। এ কারণে গত শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী তিন থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের ভেতর ও বাইরে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।'

যোগাযোগ করা হলে কুয়েটের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। উনি দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন। যেহেতু ক্লাস শুরু করা জরুরি, ক্লাস শুরুর বিষয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। দ্রুত ক্লাস শুরুর বিষয়ে উপাচার্য নোটিফাই করবেন দুয়েকদিনের মধ্যেই।'

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত হন। পরে আন্দোলনের মুখে উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। 

১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার মুখে ২২ মে তিনি পদত্যাগ করেন। ১০ জুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া অগ্রসর হতে সময় লেগে যায়।

এ অবস্থায় সরকার গত বৃহস্পতিবার বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. হেলালীকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর একদিন পর শুক্রবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপাচার্য পদে যোগদান করেন।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা আজ ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১৬০ দিন কুয়েটের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। দীর্ঘদিন উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, একাডেমিক কার্যক্রমসহ সবকিছু স্থগিত হয়ে আছে।

Comments