ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি, ২ বাংলাদেশি সাঁতারুকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যর্থনা

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেলকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

হাইকমিশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়, হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের আমন্ত্রণে এই দুই সাঁতারু বুধবার বিকেলে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আসেন।

হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর বলেন, বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনার জন্য ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া একটি বড় সুযোগ।

তিনি জানান, এজন্য বহু বছর ধরে তিনি পরিকল্পনা করছিলেন।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সাগর জানান, পানিতে প্রচন্ড ঠান্ডায় তার শরীর অনেকটা জমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিটে তিনি চ্যানেল অতিক্রম করেন।

সাঁতারু নাজমুল হক হিমেল বলেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে তাকে প্রচন্ড প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছে। কিন্তু তিনি ছিলেন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

হিমেল বলেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে হলে প্রতিকূল ঠান্ডা আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এজন্য আমি বহু বছর যাবত নিজেকে তৈরি করেছি।

হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, দীর্ঘ প্রায় চার দশক পরে বাংলাদেশের দুই সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার যে কৃতিত্ব অর্জন করেছন, তাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন গর্বিত। এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে দুই সাঁতারু তরুণদের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে।

হাইকমিশনার আশা করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরও নতুন নতুন বিজয় বয়ে আনবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় (ইংল্যান্ড সময় মধ্যরাত আড়াইটা) ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে নামেন তারা। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বিভক্ত করেছে আটলান্টিক মহাসাগরের ইংলিশ চ্যানেল। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার এবং এর প্রস্থ অবস্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার। বিখ্যাত এই চ্যানেল অতিক্রম করা প্রথম এশীয় ও বাঙালি ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন আবদুল মালেক। ‎স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯৮৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি মোশাররফ হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago