অস্ট্রেলিয়া ৯% বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী নেবে, অগ্রাধিকার পাবেন যারা

রয়টার্স ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়া আগামী বছর বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৯৫ হাজারে উন্নীত করবে। এতে অগ্রাধিকার দেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দেশটির সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে।

রয়টার্স জানায়, আবাসন সংকট ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ওপর সীমা আরোপ করা হয়েছিল। তখন ২০২৫ সালের জন্য ২ লাখ ৭০ হাজার আসন নির্দিষ্ট করা হয়।

অস্ট্রেলিয়া সরকার জানিয়েছে, তাদের নেওয়া এই নীতির কারণে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যায় লাগাম দেওয়া গেছে। তাই ২০২৬ সালের জন্য অতিরিক্ত আরও ২৫ হাজার আসন বাড়ানো হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, 'এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনভাবে নিশ্চিত করা, যা শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে যাবে।'

কোভিড-১৯ মহামারির পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা রেকর্ড সংখ্যায় আসতে শুরু করে। দেশটি ২০২৩ সালে প্রায় ছয় লাখ স্টুডেন্ট ভিসা দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে চীন ও ভারত থেকে।

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় সীমা আরোপের পাশাপাশি ২০২৪ সালে সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী জুলিয়ান হিল বলেন, অভিবাসন কমানোর জন্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো 'ফল দিচ্ছে' এবং এর ফলেই ২০২৬ সালের কোটা কিছুটা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে।

জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসিকে হিল বলেন, 'শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। গত ১২ মাসে সরকার এই সংখ্যাকে একটি টেকসই পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এই খাতের সবার কাছে হয়তো জনপ্রিয় ছিল না।'

নতুন কোটার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বরাদ্দ পাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ পাবে কারিগরি দক্ষতা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ খাত।

সরকার জানিয়েছে, বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের কোটা বাড়াতে হলে দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা থাকার প্রমাণ দিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির দিকেও নজর দিতে হবে।

জুলিয়ান হিল বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ সফট পাওয়ার বাড়ানোর জন্য আমাদের (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়) প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সেরা মেধাবীদের নিয়ে আসা দরকার।'

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সরকার চীনের ওপর অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Students’ unions: Legal bars, admin delays stall polls in many universities

Of 56 public universities across the country, only seven have the legal provision for a central students' union

8h ago