আমি এখানে জিততে এসেছি: সন

দীর্ঘ ইউরোপীয় অধ্যায় শেষে নতুন এক অভিযানে পা রাখলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল সুপারস্টার সন হিউং-মিন। প্রিমিয়ার লিগ মাতিয়ে রাখা এই টটেনহ্যাম কিংবদন্তি এবার পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস)। লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিতে (এলএএফসি) রেকর্ড অর্থের চুক্তিতে যোগ দিয়ে ঘোষণা দিলেন, 'আমি এখানে জিততে এসেছি।'

এলএএফসি বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সনের দলবদলের ঘোষণা দেয়। চুক্তিটি ২০২৭ সাল পর্যন্ত নিশ্চিত, সঙ্গে অতিরিক্ত অপশন রাখা হয়েছে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত। চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ২৬.৫ মিলিয়ন ডলার, যা এমএলএস ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ট্রান্সফার, আগের রেকর্ডধারী ইমানুয়েল লাত্তে লাথের চেয়েও বেশি। ৩৩ বছর বয়সী সন এখন শুধু পি-১ ভিসা ও আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পেলেই মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত।

লস অ্যাঞ্জেলেসে এক সংবাদ সম্মেলনে সন বলেন, 'শুধু ইউরোপে সফল ছিলাম বলেই এখানে হব, এমনটা ভাবছি না। এটা আমার জন্য একেবারে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমি আমার সবটুকু ঢেলে দেব ক্লাব, মালিকপক্ষ ও সমর্থকদের জন্য। আমি জিততে এসেছি, পারফর্ম করব, আর দারুণ কিছু দেখাব। এখান থেকে আমি এমনভাবে যেতে চাই, যেন আমাকে এই ক্লাবের একজন কিংবদন্তি হিসেবে মনে রাখা হয়।'

এলএএফসির সহ-সভাপতি ও জেনারেল ম্যানেজার জন থোরিংটন বলেন, 'সনি একজন বৈশ্বিক তারকা। তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণ আমাদের ক্লাবের মূল মানসিকতার সঙ্গে একেবারে মিলে যায়। তিনি শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও এই কমিউনিটিকে অনুপ্রাণিত করবেন।'

টটেনহ্যামের হয়ে ১০ মৌসুমে সন করেছেন ১৭৩ গোল ও ১০১ অ্যাসিস্ট। ২০২১-২২ মৌসুমে তিনি প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট জেতা প্রথম এশিয়ান খেলোয়াড়। চলতি মৌসুমেই জিতেছেন ইউরোপা লিগ ট্রফি। তার আগের ক্লাব ছিল বায়ার লেভারকুজেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রায় ৩ লাখ কোরিয়ান বসবাস করেন, যাদের বড় অংশই কোরিয়ানটাউনে। তাতে দারুণ উচ্ছ্বসিত সন, 'একজন কোরিয়ান হিসেবে আমি গর্বিত এই শহরের ক্লাবের অংশ হতে পেরে। আমি চাই তাদের গর্বিত করতে, আমি এখানে কোরিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি।'

এলএএফসিতে যোগ দিয়ে সন পুনরায় এক হলেন সাবেক টটেনহ্যাম সতীর্থ হুগো লরিসের সঙ্গে। সাবেক সতীর্থ গ্যারেথ বেলও এর আগে খেলেছেন এই ক্লাবে। সন জানান, 'হুগো আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নিতে। সে বলেছে, লস অ্যাঞ্জেলেস কতটা দারুণ জায়গা।'

দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে ৫১ গোলের পাশাপাশি সন খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপে (২০১৪, ২০১৮, ২০২২), চারটি এএফসি এশিয়ান কাপে এবং ২০১৮ এশিয়ান গেমসে নেতৃত্বে এনে দিয়েছেন স্বর্ণপদক।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

3h ago