৩০ বছর কারাগারে থাকা বিপ্লবীর প্রয়াণের ৫৫ বছর

ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

মহারাজের চলে যাওয়ার দিন ৯ আগস্ট। ১৯৭০ সালের এই দিনে বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতীক মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী মৃত্যুবরণ করেন।

সেদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে শ্রী সুরেন্দ্রমোহন ঘোষের বাসভবনে মহারাজের সম্মানে এক সংবর্ধনা ও ভোজসভার আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সিপিআই নেতা ভূপেশ গুপ্ত, শ্রী ত্রিদিব চৌধুরী, ডা. ত্রিপুরা সেন, কে কে শাহ, শ্রী উমাশংকর দীক্ষিত ও নব কংগ্রেসের সংসদীয় দলে ডেপুটি লিডার আকবর আলী খান।

মহারাজ তাদের সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান, বিশেষত পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন, নানা প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণও করেন তিনি। ভোজসভায় ইন্দিরা গান্ধী নিজ হাতে তার মুখে খাবার তুলে দেন। রাত সাড়ে ১০টায় ভোজসভার সমাপ্তি ঘটে।

মহারাজ বাইরে গিয়ে অতিথিদের বিদায় জানান। তারপর বিছানায় ঘুমাতে যান। সেদিন রাতে মহারাজ তার আত্মজীবনী প্রকাশের বিষয়ে একটি প্রকাশনীর সঙ্গে চুক্তি সই করেন। মৃত্যুর আগে এই ছিল তার শেষ কাজ।

রাত ৩টার দিকে তিনি জেগে উঠেন। সে সময় তার পাশে থাকা নাতিকে (ভ্রাতুষ্পুত্রের সম্পর্কে আত্মীয়) আলো জ্বালাতে বলেন। তারপর তিনি বাথরুমে যান। এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে আবার শুয়ে পড়েন। এর একটু পর নাতি সমর চক্রবর্তী মহারাজের গলার গড়গড় আওয়াজ শুনতে পেয়ে চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকেন। গৃহকর্তা শ্রী সুরেন্দ্রমোহন ঘোষসহ অন্যরা এসে দেখেন মহারাজ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তৎক্ষণাৎ উইলিংডন হাসপাতালে খবর দেওয়া হলে দুইজন চিকিৎসক এসে উপস্থিত হন। কিন্তু মহারাজকে আর বাঁচানো যায়নি।

ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ৯ আগস্ট রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিপ্লবী মহারাজ।

তার প্রয়াণের সংবাদ পেয়ে শ্রী সুরেন্দ্রমোহন ঘোষের বাসভবনে মহারাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। রাষ্ট্রপতির পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার এডিসি। অনেক সংসদ সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে মহারাজের মৃতদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার সাজ্জাদ হায়দার।

বর্ণাঢ্য জীবন ছিল মহারাজের। মহান এই বিপ্লবীকে সবাই পছন্দ করতেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত তাকে সমীহ করতেন। উদ্দেশ্য এক হলেও অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের মধ্যে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বিরোধ ছিল। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব-গুণে তিনি তা অর্জন করেছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বিশ্ববরেণ্য নেতারা তাকে স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন।

মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী শুধুমাত্র একজন বিপ্লবী ছিলেন না। তিনি একাধারে লেখক, কবি, চিন্তাবিদ, একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকও। তিনি যেমন কবিতা লিখেছেন, তেমনই লিখেছেন গীতার ভাষ্য। লিখেছেন জেলখানার অভ্যন্তরের সমস্যা ও সংকট নিয়ে। স্কুলের জন্য পাঠ্যবইও রচনা করেছেন। সব কিছু ছাপিয়ে 'জেলে ত্রিশ বছর ও পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম' বইটির জন্য তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

কালের বিবর্তনে গ্রন্থটি অগ্নিযুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস জানতে হলে বইটির পাঠ আবশ্যক। অন্যথায় তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

জীবনের শেষবারের মতো প্রায় ৪৭ দিনের ভারত সফরের একদিনও বিশ্রাম নেননি মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী। হয়তো তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সময় আর বেশি নেই। তাই প্রতিটি দিন পার করেছিলেন অত্যন্ত ব্যস্ততায়। পুরোনো বন্ধু, সহযোদ্ধা, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন। সফরে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে।

প্রয়াণের ঠিক তিন দিন পূর্বে অগ্নিযুগের বিপ্লবী বাংলার মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ১৯৭০ সালের ৬ আগস্ট দিল্লির পার্লামেন্টে ভাষণ দেন। বলেন, 'আজ যদিও আমি পাকিস্তানি নাগরিক, কিন্তু ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশের অধীন ছিল তখন ইন্দো-পাক মিলিত এই অখণ্ড মহাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমিও সংগ্রাম করেছি। আজ দেশ স্বাধীন। একজন স্বাধীনতা-সংগ্রামী হিসেবে আমি আজকের ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়কে এর জন্য গর্ববোধ করতে বলব। আমি মনে করি, এ উপদেশ দেওয়ার অধিকার আমার আছে। কারণ আজ তারা যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে, আমি সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন। উভয় দেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে আমি আবেদন রাখব—তারা যেন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, সংগ্রাম করে অনগ্রসরতার বিরুদ্ধে এবং সর্বোপরি চেষ্টা করে শৃঙ্খলা-পরায়ণ হতে, যাতে করে তাদের মাতৃভূমি জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করে।'

ভরতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সামনে দেওয়া সেদিনের বক্তব্যে অন্য এক মহারাজকে খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে তার কথায়, আচরণে অন্য রকম সাহস, দৃঢ়তা ও ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছিল। প্রয়াণের ৫৫ বছর পর তার ভাষণ পাঠে নতুন করে আমাদের ভাবায়। পাক-ভারতের রাজনীতি, আগামীর করণীয়, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় নানা সমস্যা, বিশেষত কাশ্মীর ও ফারাক্কা সমস্যা নিয়েও কথা বলেন মহারাজ।

তিনি তার ভাষণে আরও বলেন, 'আমার বিশ্বাস এই দুই দেশের মধ্যে যে মিত্রতার বন্ধন স্থাপিত হচ্ছে না, তার মূলে কাজ করছে বৈদেশিক শক্তি—যেহেতু এই দুই দেশের মধ্যে মৈত্রতার বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হলে কোনো কোনো বৈদেশিক শক্তির কাছে তা অসুবিধার কারণ হয়ে উঠতে পারে। যদি উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে দেশ রক্ষার ব্যাপারে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয় সেই অর্থ শিল্পোন্নয়নে ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে ব্যয়িত হতে পারে এবং তা যদি হয়, তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান বৈষয়িক উন্নতিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে তাদের যথোপযুক্ত স্থান করে নেবে। কেবল তাই নয়, উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হলে কাশ্মীর-ফারাক্কা সমস্যা কোনো সমস্যা বলেই মনে হবে না।'

'সব কিছুর তখন সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে এবং কাশ্মীর রক্ষার ব্যাপারে যে অর্থ ব্যয় হয়—তা অন্যান্য গঠনমূলক কাজে ব্যয়িত হতে পারবে। উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন প্রতিষ্ঠিত হলে ফারাক্কা দিয়ে পাকিস্তানের যতটা জল প্রয়োজন ভারতবর্ষ তা তাকে দেবে। ভারতবর্ষ উত্তরবঙ্গকে মরুভূমিতে পরিণত করতে কখনই চায় না; বরং ভারতের স্বার্থে উত্তরবঙ্গকে শস্য ভাণ্ডারে পরিণত করবে এবং তা দ্বারা ভারতবর্ষও যথেষ্ট উপকৃত হবে।'

সেই বক্তব্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে দৃঢ়তার সঙ্গে মহারাজ তার মতামত তুলে ধরেছিলেন। তিনি যেন হয়ে উঠেছিলেন ভারত-পাকিস্তানের শান্তির দূত, দুদেশের শীর্ষ অভিভাবক। ভারতবর্ষের পার্লামেন্টের পরিবেশ সেদিন অন্য সাধারণ কোনো দিনের মতো ছিল না। বিপ্লবী মহারাজ বলছেন, আর তন্ময় হয়ে শুনছেন সারা ভারতের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তারও আগে ১৯৭০ সালের ২৪ জুন যশোরের বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। নিজ দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মহারাজ প্রিয় মাতৃভূমি পাকিস্তান (পূর্ব বাংলা) ছেড়ে ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিবৃতি দেন। জীবদ্দশায় এটিই তার শেষ বিবৃতি। ১১ জুন বিবৃতিটি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদ ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৯৭০ সালের এই নির্বাচনটি ছিল পূর্ব বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীকে সৎ ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।

বাংলার নির্যাতিত-নিপীড়িত, মুক্তিকামী মানুষের প্রিয় মহারাজের জন্ম ১৮৮৯ সালের ৫ মে, বঙ্গাব্দ ১২৯৬ সালে ২২ বৈশাখ বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে। এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয় তার। মহারাজের বাবার নাম দুর্গাচরণ চক্রবর্তী, মাতা প্রসন্নময়ী দেবী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।

অসামান্য দেশপ্রেমিক এই মানুষটি ব্রিটিশ শাসনের সময় ৩০ বছর জেল খেটেছেন। আত্মগোপনেও থেকেছেন পাঁচ-ছয় বছর। এরপর স্বাধীন দেশেও তাকে অত্যাচার-নির্যাতন সইতে হয়েছে। পাকিস্তান সরকার তাকে কারা-অন্তরীণ করেছে। আজীবন অকৃতদার মহারাজ মানুষের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সমাজ, উন্নত সমাজ নির্মাণের জন্য আমৃত্যু লড়াই করেছেন। আরও ব্যাপকভাবে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। 'সংযুক্ত প্রগতিশীল দল' (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ পার্টি) থেকে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তার নির্বাচনী এলাকা ছিল পূর্ব-ময়মনসিংহ। নেত্রকোনা মহকুমার ১২টি থানা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমার আটটি থানা নিয়ে এই আসনটি গঠিত হয়।

নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে জয়ী হন মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ। দ্বিতীয় হয়েছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নগেন সরকার। নির্বাচনে জয় লাভ করে যুক্তফ্রন্টের সময়ে সরকার পক্ষের এমপিএ (আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য) হয়েছিলেন মহারাজ। তবে এই জয় পেয়েও শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি তিনি। কারণ, যে ভোটাররা ভালোবেসে ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছে, তাদের জন্য কয়েকটা টিউবওয়েল বসানো ছাড়া তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন। এখানেই শেষ নয়, এমপিএ নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আরও যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে।

দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর সেখানে আরাম-আয়েশের জীবন গ্রহণ করার সুযোগ ছিল, তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হওয়ার পথ। সব লোভ-লালসা, নিশ্চিন্ত ও সম্মানের জীবনকে পেছনে ফেলে তিনি ফিরে আসলেন মাতৃভূমিতে। মাতৃভূমির মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অদম্য বাসনায় সেদিন তিনি ভারতমুখী হননি। তিনি মনে করতেন, দেশত্যাগ কোনো সমাধান নয়। দেশে থেকেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। দেশত্যাগ করে চলে যাওয়াকে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করতেন। এক রকম নিশ্চিত হয়েই অনিশ্চিত জীবনের পথে পুনরায় যাত্রা করলেন মহারাজ। প্রায় ৪০ বছর পর স্থায়ীভাবে অবস্থানের ইচ্ছা নিয়ে ফিরলেন নিজ এলাকা কাপাসাটিয়ার মানুষের কাছে। শুরু করলেন নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড।

গ্রামের মানুষের বেকারত্ব দূর করতে বাঁশের চরকা তৈরি করার কারখানা স্থাপন, নারী শিক্ষায় বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করলেন। যদিও মহারাজের উপস্থিতেই এক সময় তার প্রচেষ্টাগুলো ব্যাহত হয়, তবুও তিনি দমে যাননি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। সঙ্গত কারণেই মহারাজের সমগ্র জীবন এখনো নতুন প্রজন্মের কাছে দারুণভাবে প্রাসঙ্গিক। তাকে পাঠ করা জরুরি।

ফয়সাল আহমেদ: লেখক, গবেষক ও সম্পাদক

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

5h ago