টাইব্রেকারে লিভারপুলকে চমকে দিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল প্যালেস

ছবি: রয়টার্স

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের লড়াই সমতায় শেষ হওয়ায় খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হলেন গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন। তার নৈপুণ্যে লিভারপুলকে চমকে দিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জিতল ক্রিস্টাল প্যালেস।

ইংলিশ ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরুর দিনে ছড়াল রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা। রোববার লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জিতেছে প্যালেস। এর আগে ২-২ গোলে ড্র হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। দুই দফা এগিয়ে যাওয়ার পরও শেষমেশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিভারপুলকে।

তিন মাস আগেও বড় কোনো শিরোপা ছিল না প্যালেসের। এখন ক্লাবটির নামের পাশে রয়েছে দুটি ট্রফি। গত মে মাসে এই মাঠেই ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে গত মৌসুমে এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।

টাইব্রেকারে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু করে লিভারপুল। প্রথম শট নেওয়া মোহামেদ সালাহ বল উড়িয়ে মারেন। এরপর আরও বিপদ বাড়ে যখন দ্বিতীয় ও চতুর্থ শটে আলেক্সিস ম্যাক আলিস্তার ও হার্ভি এলিয়টকে ঠেকিয়ে দেন হেন্ডারসন।

লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যান প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের গোলরক্ষক আলিসন। তিনি এবেরেচি এজে ও বোর্না সোসার শট রুখে দেন। কিন্তু শেষ শট জালে পাঠিয়ে প্যালেসকে জয়ের আনন্দে মাতিয়ে তোলেন জাস্টিন ডেভেনি।

এর আগে ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই দুই নতুন খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে আসে গোল। হুগো একিতিকে ফ্লোরিয়ান ভার্টজের পাস থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। ১৭তম মিনিটে জ্যাঁ-ফিলিপ মাতেতা পেনাল্টি থেকে গোল করে প্যালেসকে সমতায় আনেন।

চার মিনিট পর ফের লিড নেয় অলরেডরা। দমিনিক সবোসলাইয়ের পাসে আরেক নতুন ফুটবলার জেরেমি ফ্রিমপং করেন লক্ষ্যভেদ। এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ইসমাইলা সার প্যালেসকে আবার সমতায় ফেরান প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ নিয়ে।

শেষ পর্যন্ত শক্তি ও ঐতিহ্যের বিচারে অনেক অনেক পিছিয়ে থাকা প্যালেসই হয় বিজয়ী। কয়েক মাসের ব্যবধানে এফএ কাপের পর কমিউনিটি শিল্ডও ঘরে তোলে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

AL govt’s secret surveillance state

From snooping devices carried in backpacks to locate people through their phones to a massive infrastructure that can intercept even end-to-end encryption from a central command centre, the Awami League government had been on an increasingly aggressive trajectory towards building a powerful surveillance state. 

9h ago