২ গোল হজমের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল বার্সেলোনা

খেলার ধারার বিপরীতে প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করল বার্সেলোনা। তারপরও দমে না গিয়ে বরং বিরতির পর আরও তেতে উঠল তারা। ফল মিলল হাতেনাতে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে লেভান্তেকে তাদের মাঠে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বার্সা। এতে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
স্বাগতিকদের দুই গোলদাতা হলেন ইভান রোমেরো ও হোসে লুইস মোরালেস। এরপর ম্যাচের ৪৯ থেকে ৫২— এই তিন মিনিটের মধ্যে জাল খুঁজে নিয়ে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান পেদ্রি ও ফেরান তরেস। ড্রয়ের জোরাল সম্ভাবনা জাগলেও শেষ মুহূর্তে দেখা মেলে চরম নাটকীয়তার। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে লেভান্তের উনাই এলগেজাবালের আত্মঘাতী গোলে ফয়সালা হয় লড়াইয়ের।
এই শতাব্দীতে প্রথমার্ধ শেষে দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর এই প্রথম লা লিগায় কোনো ম্যাচ জিতল বার্সা। আগের এমন ১৩টি ঘটনার মধ্যে ১২টিতেই হেরেছিল তারা। বাকিটিতে ড্র করেছিল দলটি।
গোটা ম্যাচে ফ্লিকের দলের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। ৮৩ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে গোলমুখে ২৬টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে ১০টি। অন্যদিকে, গোলপোস্টে লেভান্তের নেওয়া আটটি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।
শুরু থেকেই বার্সেলোনা প্রভাব বিস্তার করে খেলতে থাকলেও ১৫তম মিনিটে উল্টো এগিয়ে যায় লেভান্তে। চমৎকার একটি পাল্টা আক্রমণে জেরেমি তোলিয়ানের কাছ থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রোমেরো। সমতায় ফেরার চেষ্টায় থাকা বার্সাকে হতাশ হতে হয় ৩৭তম মিনিটে। পেদ্রির পাসে ফেরানের শট বাধা পায় ক্রসবারে।
বিরতির আগে আরেক ধাক্কা খায় কাতালানরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান মোরালেস। এর আগে তার শট ডি-বক্সে আলেহান্দ্রো বালদের হাতে লাগে। তখন ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি বাজান স্পট-কিকের বাঁশি। যদিও বালদের হাত শরীর থেকে তেমন দূরত্বে ছিল না।
লড়াইয়ে ফিরে আসতে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি সময় নেয়নি বার্সা। প্রথম লামিন ইয়ামালের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান কমান পেদ্রি। এরপর রাফিনিয়ার কর্নারে ডান পায়ের ভলিতে গোল করে সমতা টানেন ফেরান।
বার্সেলোনা এরপর জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আক্রমণভাগের শক্তি বাড়াতে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় রবার্ত লেভানদভস্কিকে। তবে ফেরান, এরিক গার্সিয়া ও জুল কুন্দে সুযোগ পেলেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ভাঙ্গে অচলাবস্থা। ডানদিক থেকে ইয়ামাল ছয় গজের বক্সের মধ্যে বিপজ্জনক জায়গায় ফেলেন ক্রস। তা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন এলগেজাবাল। ফলে লেভান্তের হৃদয় ভেঙে জয়ের হাসি মেলে বার্সেলোনার।
Comments