জঙ্গিদের শরীরে পেছন থেকে বেশি গুলি লেগেছে, ময়নাতদন্তে প্রকাশ

রাজধানীর কল্যাণপুরে অপারেশন ‘স্টর্ম ২৬’ এ নিহত জঙ্গিদের ময়নাতদন্তে প্রত্যকের শরীরেই একাধিক গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিহতদের সবাই পেছন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

-প্রত্যেক জঙ্গির শরীরে ৭/৮টি বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গেছে - গুলিবিদ্ধ হয়েই মারা গেছে জঙ্গিরা -৪ মৃতদেহ থেকে ৭টি বুলেট বের করা হয় -পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা রাখা হয়েছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন- নয় জনের প্রত্যেকের শরীরেই সাত থেকে আটটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

অধিকাংশ গুলি তাদের পেছনে লেগেছে, ময়নাতদন্ত শেষে সংবাদ মাধ্যমকে জানান তিনি।

চারটি লাশের শরীর থেকে সাতটি বুলেট বের করা হয়েছে। বাকিদের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন থাকলেও শরীরের ভেতরের অংশে কোন বুলেট পাওয়া যায়নি। গুলিবিদ্ধ হয়েই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়।

নিহতরা কোন উত্তেজক দ্রব্য বা মাদক নিয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার জন্য তাদের রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে জানান তিনি।

সোহেল মাহমুদ, কবীর সোহেল এবং প্রবীর বিশ্বাস বেলা ১১:৩০মিনিটে শুরু হওয়া এই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ১:৫০ মিনিটে অপেক্ষারত সংবাদ মাধ্যমগুলোকে ময়নাতদন্তের ফলাফল জানানো হয়।

এই ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলাকালীন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় নয় জঙ্গি এবং একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।

ঐ জঙ্গি আস্তানা থেকে হাতে তৈরী গ্রেনেড, প্রায় ৫ কেজি জেল, ১৯টি ডেটোনেটর, ৪টি ৭.৬২এমএম পিস্তল, ৭টি ম্যাগাজিন, ২২টি বুলেট, ৩টি কমান্ডো ছোরা এবং আরবী লেখা ২টি কালো পতাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি নিজেকে আই এস সদস্য দাবি করলেও বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান বলেন এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের কর্মী।

এই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় অংশ নেয়া জঙ্গিদের যথেষ্ট মিল রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে বলেছেন তাদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে দেশ একটি বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt committed to returning power to people: CA

"To build a stronger and resilient Bangladesh, we need big changes in our economy," Yunus said.

28m ago