হবিগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে ৩ শিশু নির্যাতন

‘মামু তুমি আমার মাথাত কোরআন শরিফ আইন্না দেউ, তবুও আমি কইমু আমি এর সাথে আছলাম না। তুমি বিশ্বাস করো আমি আছলাম না। তুমি যদি আমারে মারো আল্লার কাছে দায়ী থাকবায়। মামু মাইরো না।’

‘মামু তুমি আমার মাথাত কোরআন শরিফ আইন্না দেউ, তবুও আমি কইমু আমি এর সাথে আছলাম না। তুমি বিশ্বাস করো আমি আছলাম না। তুমি যদি আমারে মারো আল্লার কাছে দায়ী থাকবায়। মামু মাইরো না।’

এই করুন র্আতনাদ একটি শশিুর । তার দু হাত দড়তিে বাঁধা, পা দুটো শকিল দয়িে তালা দয়ো অবস্থায় তাকে তখন অমানুষকি নর্যিাতন করা হচ্ছ।ে এই ঘটনা ঘটছেে হবগিঞ্জ শহররে খাদ্য গুদাম এলাকার একটি কলোনতিে । একটি মোবাইল চুররি সন্দহেে শাহ আলম নামরে এক লোক তনিটি শশিুর উপরে পাশবকি নর্যিাতন চালায় । ঘটনাটরি ভডিওি ইতমিধ্যে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যম ফসেবুকে ভাইরাল হয়ছেে ।

নির্যাতনের শিকার শিশুরা, হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা এলাকার আব্দুল খালেকের পুত্র রনি (১২), বাচ্চু মিয়ার পুত্র রুবেল (১৩) ও অভিযুক্ত শাহ আলমের ভাড়াটিয়া পরিবারের সন্তান মাহিন (১২)।

 

এই ঘটনার পর শহরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় । র্কতব্যে অবহেলার অভিযোগে গতকাল রাতে এসআই রাজকুমারকে ক্লোজডের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র। তিনি এই ঘটনার মামলা, নির্যাতিত ৩ শিশুকে চিকিৎসা ও আজ সকালে কোর্টে শিশুদের জবানবন্দি নয়োর জন্য একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শাহ আলমকে থানায় আটক ও সদর মডেল থানার এস আই রাজ কুমারকে “ক্লোজড” করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ১০টায় ৩ শিশুকে আটক করেন শাহ আলম । এ সময় তিনি ওই কলোনির একটি ঘর থেকে মোবাইল ফোন চুরির অপরাধে তাদের হাত-পা বেঁধে অমানুষকি মারধর করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি তাৎক্ষণিক অবগত করা হলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এস আই রাজ কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আইনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই অজ্ঞাত কারণে ফিরে যায় । ঘটনার পর গতকাল রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য আরেক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহত শিশুদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, নির্যাতনে আহত শিশুদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে পুলিশ। রাত ১টায় নির্যাতনের শিকার শিশু রুবেলের মা সুলতানা রিজিয়া বাদী হয়ে শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Law enforcers stop protesters from breaking thru Bangabhaban barricade

A group of protesters attempted to break through the security barricade in front of Bangabhaban around 8:30pm

31m ago