রহস্য!

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের রাশি
বন্যা মির্জার হাত দেখছেন গাজী আমজাদ হোসেন। বাকীরা আপেক্ষায় নিজেদের হাত দেখাতে।

 

কিছুটা রহস্য ছিল আড্ডার আয়োজন ঘিরে। একটা আড্ডা হবে এটা মোটামুটি ঠিক। কী নিয়ে আড্ডা, বিষয়  একটু গোপন রাখা হয়েছিল। বিকেল ৪টায় নির্ধারিত সময়ে এসে উপস্থিত অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। রাস্তায় তখন বাকিরা। ঢাকার চলমান জ্যাম তার প্রধান কারণ। এক ঘণ্টা থেকে চলে যেতে চাইলেন তিনি। একটু পরে এসে উপস্থিত ‘রক্ত’ সিনেমার তরুণ নায়ক রোশান। প্রথম সিনেমাটি ব্যবসাসফল হয়েছে। চোখেমুখে সেই দীপ্তি। এসে ক্যাফের ভেতর বসলেন। পরিচিত হলেন বন্যা মির্জার সঙ্গে। মাঝে ফেসবুকে অ্যাড হলেন দুজনে। সঙ্গে ক্যাফের বিকেলের নাশতায় ভরা টেবিল। কেউ খেলেন, কেউ খেলেন না। 

তখনো আজকের আড্ডার রহস্য উন্মোচিত হয়নি। একটু দেরিতে এসে উপস্থিত হলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিছুটা ব্যস্ততা রয়েছে সেসব নিয়ে। বন্যা মির্জাকে দেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ফিরে গেলেন। কয়েক বছরের জুনিয়র জায়েদ খান। দূর থেকে বন্যা মির্জাকে দেখতেন, চা খেতেন পাশে দাঁড়িয়ে, সেটা বলতে ভুল করলেন না। ততক্ষণে রহস্য বেরিয়ে পড়েছে। একজন জ্যোতিষী আসবেন। তারকাদের সবার হাত দেখে অতীত বর্তমান, আগামী, প্রেম, বিয়ে, সন্তান, পরকীয়া, সফলতা, অর্থ, ব্যর্থতা, ক্যারিয়ার নিয়ে বিস্তারিত বলবেন। রাস্তায় বসা সেই জ্যোতিষীও কিছুটা পুলকিত এমন তারকাদের হাত দেখবেন বিষয়টা নিয়ে। একজন একজন করে যখন বলছিলেন তখন মজে গেলেন তারকারা। প্রথমে হাত দেখেন বন্যা মির্জার। নাম ও জন্ম তারিখ লিখে হাত দেখে বলতে থাকেন সবকিছু। কিছু মিলে যাওয়াতে ভেতরে ভেতরে হয়তো আনন্দিত হচ্ছিলেন তারা। পরে দ্রুত চলে যাওয়ার কথা ভুলে গেলেন বন্যা মির্জা, রোশানসহ অন্যরা। মুখে যদিও অনেকে বলেন রাশি বিশ্বাস করেন না কিন্তু নিজের কিছু ভালো হলে, লেখা থাকলে কিছুটা তো ভালোলাগা থাকেই। জ্যোতিষীর সঙ্গে দিব্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। এ বিশেষ আড্ডায় ছিলেন বন্যা মির্জা, জায়েদ খান, স্বাগতা, জান্নাতুল পিয়া ও রোশান। তাদের নিয়ে জ্যোতিষীর বিভিন্ন কথা। পরে তাদের নিজের মতামত উঠে এসেছে আড্ডায়। তার চুম্বক অংশ। সঙ্গে ছিলেন আনন্দধারা সম্পাদক রাফি হোসেন

অভিনেত্রী বন্যা মির্জা সম্পর্কে জ্যোতিষী গাজী আমজাদ হোসেন বলেন : আপনার জ্ঞান-বিবেক খুব ভালো। দূরের জিনিসকে খুব ভালো অনুভব করতে পারেন। নেতৃত্ব দেয়া, মাতবরি করা বিষয়টা আপনার খুব ভালো। যে বংশের মেয়ে আপনি খুব ভালো। বর্তমান সময় কিন্তু খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। অর্থ, মন কিন্তু খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। পুরুষের দ্বারা আপনি আঘাত পান। পুরুষের কাছ থেকে কখনো ভালোকিছু পাবেন না। আঘাত পাবেন। যতই আনন্দে থাকেন না কেন বিষাদ আছে। অনেকেই আপনার অর্থ নিতে চাইবে। কিন্তু আপনার হৃদয় রেখাটা খুব ভালো। কিন্তু অনেক জেদি। ধানাই-পানাই করেন না। ২০১৭ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো যাবে কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার কী হবে বলা যচ্ছে না। ডায়মন্ড ব্যবহার করতে পারেন। বসবাসের স্থান পরিবর্তন হবে। বাবার ভিটায় এবং শ্বশুরের ভিটায় থাকতে পারবেন না। এটা ২০১৭ সালের কথা বলছি। আপনার মনমানসিকতা, বিবেক, বুদ্ধি সবকিছু ভালো কিন্তু পুরুষের দ্বারা আঘাত পাবেন বেশি। গাড়ি, মোটরসাইকেল একটু সাবধানে চালাবেন। খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকবেন। আপনার আপন মানুষরাই কষ্ট দেবে বেশি। মানুষ আপনার খুব নাম করবে। স্বাস্থ্যের প্রতি একটু মনোযোগ দিতে হবে। ২০১৭ সালের মার্চের পর ভালো যাবে। টাকা-পয়সা বেশি পাবে। একা একা যখন চিন্তা করেন তখন আত্মঘাতী হওয়ার ইচ্ছা জাগে মনের ভেতর। টাকা-পয়সা আসবে। পড়াশোনার জন্য বাইরে যাবেন।

বন্যা মির্জা : বাচ্চা-কাচ্চা হবে?

জ্যোতিষী : পাঁচ-ছয়টা বাচ্চা হবে। যদি ওষুধ না খান তাহলে অবশ্যই হবে।

চিত্রনায়ক জায়েদ খান সম্পর্কে জ্যোতিষী গাজী আমজাদ হোসেন বলেন : নারীর কারণে আপনার সমস্যা। নারীর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া নিয়ে সমস্যা। মেয়েরা তাকে দেখলে আকর্ষিত হয়। তার জন্য মেয়েরা সুইসাইড করতে চায়। অধিক নারী তাকে ঘিরে থাকে। বিবাহিত নারী তাকে খুব পছন্দ করবে। তাদের প্রতারণা বুঝতে পারবেন না। আপনার সুনাম অর্জন হবে। মানুষের মুখে মুখে আপনার নাম থাকবে। বংশের আরো সুনাম হবে। মানুষ মানবে আপনাকে। শরীর ভালো যাবে। ২০১৫ মার্চের পর কিন্তু ভালো যাচ্ছে না। তবে সুনাম আরো বাড়বে। ২০১৭ সালের এপ্রিলের পর আপনার ভালো যাবে। সততা, মানবতা খুব ভালো। বড় মনের মানুষ আপনি। প্রেম, ভালোবাসা, মমতা খুব ভালো। রুবি অনামিকায় পরবেন। এটা নিয়মিত রাখবেন হাতে। বাবার কিছু জায়গা-জমি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার হিসাব পাবেন ২০১৭ সালে। হাই সোসাইটির মেয়ের সঙ্গে আপনার বিয়ে হবে।

জায়েদ খান : সামনে নির্বাচন করবে শিল্পী সমিতিরি নির্বাচনে কী হবে?

জ্যোতিষী : নেতৃত্বগুণ ভালো। বিপুল ভোটে জিতবেন। জয় আপনার হবেই।

চিত্রনায়ক রোশান সম্পর্কে জ্যোতিষী গাজী আমজাদ হোসেন বলেন : এখন যতই প্রেম-ভালোবাসা করেন কিছুই থাকবে না, ছুটে যাবে। বয়স যখন তিশ-বত্রিশ হবে, বিয়েটা নিজের ওপর নির্ভর করবে। প্রেম ভালো হবে। মানুষ আপনাকে সম্মান করবে, মানসিকতা, সততা ভালো। নারীরা আপনাকে খুব পছন্দ করে। কম বয়সে একটা প্রেম ছুটে গেছে।

 রোশান : সবারই তো ছুটে যায় প্রেম।

জ্যোতিষী : আপনার আরো প্রেম হবে। বিবাহিত নারী আপনার প্রেমে পড়বে।

বাবার ভিটায় বাস করতে পারবেন না। আলাদা থাকতে হবে। যাওয়া-আসা থাকবে। জীবনটা আপনার সংগ্রামের, নিজের যোগ্যতায় উঠতে হবে। অর্থ বিষয়টা ভালো। ব্রেন ভালো। শরীরটা ভালো। বিবাহিত নারী ষড়যন্ত্র করে বিয়ে করতে পারে। এখান থেকে সাবধান থাকতে হবে। বিবাহিত নারী বেশি বিরক্ত করবে। বিবেক, বুদ্ধি, সাহস বেশ ভালো। কিন্তু জীবন নিজেকেই গড়তে হবে। পরিচিত আপনজনদের টাকা-পয়সা দিয়ে ফেরত পাবেন না। অর্থ দিলে ফেরত

পাবেন না। অর্থ সঙ্গে রাখতে পারবেন না। ২০১৭ সাল খুব একটা ভালো যাবে না। একটা মিয়ানমারের রুবি পাথর হাতে লাগাবেন। অনেক কিছু কেটে যাবে।

বয়স ৩২ বছরের পর টাকা বাড়তে থাকবে।

রোশান : আমার একটা সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এটা বলেছি।

মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া সম্পর্কে জ্যোতিষী গাজী আমজাদ হোসেন বলেন : আপনার স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো হবে না। অনেক চেষ্টা করার পরও। উচ্চশিক্ষা করার জন্য দেশের বাইরে যেতে হবে আপনাকে। আপনি একটা মুক্তা পাথর ব্যবহার করবেন। ভ্রমণে খুব যন্ত্রণা হবে না। শিক্ষা অনেক ওপরে আপনার। আপনি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না। বিয়ে একটু লেটে হবে।

পিয়া : আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে।

জ্যোতিষী : বিয়ে যদি তিরিশের আগে হয়, তাহলে তিরিশের পর যদি কিছু একটা ঘটে যায়। তিরিশ-বত্রিশ বছরের পর অন্য কিছু ঘটবে। আপনার কম বয়সে বিয়ে লেখা ছিল। একটা কিছু হলে সমস্যা।

পিয়া : আমার সমস্যা হবে না, দোয়া করবেন।

জ্যোতিষী : আপনি অনেক লম্বা। আরো একটু মোটা হলে ভালো হবে। আপনি ডায়মন্ড ব্যবহার করবেন। পড়াশোনার জন্য দেশের  বাইরে যাবেন। অমাবস্যা-পূর্ণিমায় একটু খুলে রাখবেন কিছু আংটি। পুরুষ মানুষ খুব বিরক্ত করে আপনাকে।

পিয়া : পুরুষ মানুষ তো বিরক্ত করবেই।

জ্যোতিষী : আপনি অনেক জেদি। যেটা বলেন করেন। ক্যারিয়ার অনেক ভালো, জানুয়ারির তিন সপ্তাহ পর ভালো যাবে। অর্থ আসবে। বাচ্চা হবে, প্রথমটা হবে মেয়ে।

পিয়া : আমি রাজনীতি করতে চাই।

জ্যোতিষী : বললাম তো নেতৃত্ব আসবে।

অভিনেত্রী স্বাগতা সম্পর্কে জ্যোতিষী গাজী আমজাদ হোসেন বলেন : আপনার হাতের রেখা বলছে অনেক জেদি আপনি। কিন্তু মনটা অনেক সহজ। তার কারণে অনেকে সুযোগ নিয়ে থাকে এই সরলতার। চলতি বছরে অনেক টাকা-পয়সা আসবে আপনার হাতে। মানুষ আপনার কাছে টাকা-পয়সা চাইলে তাদের দিয়ে দেবেন। আর এই সুযোগ তারা কাজে লাগাবে। সরল মনের কারণে অনেক ছেলে বিরক্ত করবে। তবে সবকিছু কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। আপনার হাতে নতুন একটা রেখার আভাস দেখা যাচ্ছে। এতে করে মনে করা হচ্ছে লিজেন্ড একজন হবেন। যাকে মৃত্যুর পরও মানুষ মনে রাখবে। তবে ব্যবসাপাতি আপনার দ্বারা হবে না। ক্যারিয়ার খুব একটা খারাপ যাবে না এই বছরে। তবে খুব বুঝে-শুনে পা ফেলতে হবে চলতি বছরে।

 

 

রাফি হোসেন : জ্যোতিষী সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

জায়েদ খান : আমার সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তার প্রায় ৯০ ভাগই মিলে গেছে। আমি এগুলো বিশ্বাস করি যে ভাগ্য রেখার কিছু আল্লাহ হাতে দিয়ে দিয়েছেন। আমি অনেকগুলো পাথরও ব্যবহার করি আমার হাতে। এগুলোকে বলতে পারেন বিশ্বাসের ব্যাপার। ভক্তিতে মুক্তি বলে একটা কথা আছে, এগুলো অনেকটা তাই। আমি যে জ্যোতিষীকে নিয়মিত দেখাই তাকেও তিনি চেনেন। তাদের কথার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তাদের কথার অনেক কিছুই মিলে যায় আমার কাজের ক্ষেত্রে। এসব মিলিয়েই আমি ভাগ্যরেখা, জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করি।

রাফি হোসেন : জ্যোতিষী যা বললেন তার কতটা আপনার ক্ষেত্রে মিলেছে?

পিয়া : আমার সম্পর্কে যা বলেছেন তার প্রায় ৮০ ভাগ মিলে গেছে। উনি কিছু কাজ করার কথা বলেছেন। আমি কিছু কাজ করার ক্ষেত্রে কীভাবে করলে তা আমার জন্য ভালো হবে তা বলেছেন। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে ওনার কথাগুলো ঠিক আছে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে কিছুটা বিশ্বাস করি আর বাকিটা আমার কাজ আমাকে নিয়ে যাবে। আসলে নিজের পরিশ্রমের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।

রাফি হোসেন : নতুন বছরে কী করতে চান?

পিয়া : আমি ২০১৭ সালটা কাটাতে চাই নিজের ক্যারিয়ারের কিছু বিষয়ের প্রি-প্ল্যানের মধ্যে। আমি সেপ্টেম্বরে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি পড়াশোনার জন্য। নিজের সব কিছু একটু গুছিয়ে নিতে চাই বাইরে যাওয়ার আগে। আমি প্রায় এক বছর থাকব না দেশে। এই সময়ে আমার কিছু কাজ যাতে টিভি বা পত্রিকায় চলতে থাকে। সবাই যাতে এই সময়টাতেও আমাকে মনে রাখে। আমি একটা ব্যবসাও শুরু করেছি। এটা একটা বুটিক। আমার এক বোনের জন্য এটা করা।

রাফি হোসেন : জ্যোতিষী সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

বন্যা : আমি ওনাকে কোনো নম্বর দেব না। কেননা সেটা সাজেও না। আমার অনেক কিছু মেলেনি। একজন সম্পর্কে বলতে গেলে কিছু তো মিলতেই পারে, কিন্তু তা আমার ক্ষেত্রে খুবই কম হয়েছে। তিনি বলছিলেন ছেলেরা ঝামেলা করবে। এটা তো কম-বেশি সব মেয়ের জীবনেই থাকে। আমার জীবনসঙ্গী নিয়ে বলছিলেন, তিনি অনেক কিছু নিয়ে ঝামেলা করবেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তার কিছুই টের পাচ্ছি না। কারণ সব কিছু মিলিয়ে একটা মজার দাম্পত্যের মধ্যে আমি আছি। আমার বুদ্ধি ভালো বলে যা তিনি বললেন, তা আসলে আমার নিজের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব না। এটা আমার প্রশংসা হিসেবেই নিচ্ছি।

একটা দীর্ঘ সময় মানুষ দেখা, মানুষের হাত দেখা তার এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই চমকপ্রদ লাগল। সম্ভবত উনি মানুষের চেহারা দেখলে বা তার মুখের ভাব দেখে অনেক কিছু ধারণা করে নিতে পারেন। কিংবা এমনও হতে পারে, তিনি অনেক বুদ্ধিমান লোক অনেক কিছুই চট করে বুঝে যেতে পারেন মানুষের দু-একটা কথা শুনে। এটা তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কারণেও হতে পারে। অনেকেই সম্ভবত টাকা-পয়সার বিষয়টা নিয়ে ভালো কিছু শুনতে চান। ওনারা মানুষকে খুশি করার জন্য যে কিছু কথা বলেন এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। খুব কম লোককে হয়তো ওনারা বলেন, আপনার টাকা-পয়সা হবে না। এটা হয়তো এজন্য যে, দেখার মধ্য দিয়ে তিনি আরেকজনকে সুখী দেখার এক ভিন্ন রকমের আনন্দ পান। এটাই আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই জ্যোতিষের ক্ষেত্রেও আমার এই বিষয়টাই ভালো লেগেছে।

রাফি হোসেন : জ্যোতিষী যা বললেন তার কতটা মিলেছে?

স্বাগতা : আমি এই বিষয়টাতে আগ্রহী এই অর্থে যে, এটা আমার কাছে ভালো লাগে যখন দেখি তাদের কথাগুলো মিলে গেছে। আমার আসলে শুধুই মেলাতে ভালো লাগে, এটার কতটা মিলে গেল আর কতটা মিলল না। আমার চেহারা দেখে ওনার মনে হয়েছে, আমি খুবই খুঁতখুঁতে স্বভাবের। যার কারণে আমাকে তিনি যা বলেছেন তার সবটাই প্রায় এই ধারণার সঙ্গে মিল রেখেই বলা। আমার কখনো টাকা-পয়সা, নাম-যশের অভাব হবে না সেটাও বলেছেন। আমার ক্ষেত্রে তার বলা কথার বেশিরভাগটাই মিলেছে। আর আমার মনের একটা সুপ্ত বাসনার কথা তিনি বলেছেন। আমি লিজেন্ড হতে চাই, সেটা তিনি বলেছেন। সব মিলিয়ে আমি খুব সুখী, কারণ তার কথার প্রায় ৯০ ভাগই মিলেছে।

রাফি হোসেন : রোশানের কি মত এই বিষয়ে?

রোশান : আমার সঙ্গে প্রায় ৭৫-৮০ ভাগ মিলেছে। আর বিশ্বাসের কথা বললে আমার ক্ষেত্রে তা ফিফটি-ফিফটি। এটা পুরোপুরি বিশ্বাস না করলেও একেবারে অবিশ্বাস করি না। আমার নিজের কাজের ওপর নির্ভর করেই আমার ভবিষ্যৎ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি নিজের বিষয়েও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। হাত যে ক’জনকেই দেখিয়েছি তারা কেউই আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো নেগেটিভ কিছু বলেননি। সবাই আশার কথাই বলেছেন আর সেটা শুনতেই ভালো লাগে। খারাপ কিছু বললে সেটা সত্যি না বলে মনে করতে চাই। সবাই ভালো বলে বলেই হয়তো হাত দেখাতে ভালো লাগে, খারাপ বললে হয়তো ভালো লাগত না।

 

ছবি : শাহরিয়ার কবির হিমেল

Comments