মারমেইড বিচ রিসোর্ট

‘বিচ’ কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পাচ্ছি। মনে পড়ে গেল উপচেপড়া ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে দেয়া, ঠান্ডা বাতাসে পা ভিজিয়ে রাতে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা।

‘বিচ’ কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন শুনতে পাচ্ছি। মনে পড়ে গেল উপচেপড়া ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে দেয়া, ঠান্ডা বাতাসে পা ভিজিয়ে রাতে সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা। অন্তহীন সমুদ্রের সূর্যাস্ত মুগ্ধ নয়নে অনুধাবন করা আর মজার স্বাদের সিফুড খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। না, আমি কোনো বিদেশি বৈচিত্র্যের কথা বলছি না, সপরিবারে ঘুরে এলাম কক্সবাজার আর সঙ্গে মারমেইড বিচ রিসোর্ট।

অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য। আমাদের যদিও থাকা হয়নি সেখানে, গিয়েছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। প্রকৃতির আলোছায়ার মাঝে আমাদের জন্য সাজানো হয়েছিল খাবার টেবিল এবং পরিবেশনও ছিল চমৎকার।

কলাতলী থেকে ২৫-৩০ মিনিট টুকটুক করে গিয়েছিলাম সেখানে। চারপাশের পরিবেশে মুগ্ধ আমরা খাবারের অর্ডার দিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লাম। নীল পদ্মা ফুটে আছে যত্নে ছোটরা খোলামেলা জায়গা পেয়ে দারুণ মজা করেছে।

খাবার তৈরির কিচেন আপনি বাইরে  থেকেই দেখতে পাবেন। আর জুস কর্নার আলাদাভাবে সাজানো নানা ফল দিয়ে। গ্লাসে ফল কেটে জুস পরিবেশন করা হলো। জুস খেতে খেতে ঘুরে দেখতে লাগলাম চারপাশে।

পেঁচার দ্বীপ হিসেবেও খ্যাত এ জায়গাটি, ছোট নৌকায় ঘোরার ব্যবস্থাও রয়েছে। অনেক সময় সন্ধ্যায় গানের ব্যবস্থা থাকে। অবাক হতে পারেন দেখে আগুন দিয়ে বৈচিত্র্যময় খেলা। বালুর ওপরে সাজানো আছে বিভিন্ন মূর্তি। রঙিন নৌকা, লোহা দিয়ে বানানো বিভিন্ন সেপের জিনিস, সেখানে আপনি ছবি তুলতে পারেন।

কক্সবাজার থেকে ঘুড়ি কেনা হয়েছিল খোলা বিচে হাঁটতে হাঁটতে ঘুড়ি ওড়ানো হলো। জুস তো সবাই খাচ্ছিল, সঙ্গে দেয়া হলো সিফুড, সালাদ, কালামারি ফ্রাই, গ্রিল কালামারি, অপূর্ব স্বাদ। সেই সঙ্গে আচারের যে সসটা দিচ্ছিল, সেটাও বেশ মজার। দুপুরের খাবার খেতে গেলেও মজার সময় পার করতে করতে দেরি হয়ে গেল খাবার খেতে। সবাই সবার পছন্দমতো খাবারের অর্ডার দিয়েছিল, তাই খাবারের বিভিন্ন রূপ দেখেও আমরা ছিলাম মুগ্ধ আর খাবার খেয়ে তৃপ্তিও পেয়েছিলাম।

খাওয়া শেষে আবার খোলা জায়গায় বসলাম। ওরা অতিথিদের সমুদ্রের পাড়ে বসার জন্যও সুন্দর ব্যবস্থা করে রেখেছে। চাইলে আপনি সেখানে বসেও খাবার খেতে পারেন। মওসুমটা এখন এত সুন্দর, কিছুদিন বেড়িয়ে এলে ভালোই লাগবে। প্রতিদিনের ব্যস্ত সময় থেকে কিছুটা বিরতি। প্রকৃতির কাছাকাছি।

ছবি : লেখক

 

Comments

The Daily Star  | English

Lightning fatalities on the rise

Bangladesh has been witnessing a rise in casualties from lightning mainly due to drastic shifts in weather patterns.

50m ago