বছরে পাঁচ মাস মৌমাছিদের দখলে থাকে টাঙ্গাইলের এই বাড়িটি

বাড়িটি ‘মৌমাছিদের বাসা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাদল চক্রবর্তীর বাড়িটি। ছবি: মির্জা শাকিল

প্রতি বছর সরিষা ফুল ফোটার আগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামের এই বাড়িটিতে লাখ লাখ মৌমাছি এসে বাসা বাঁধে। মৌমাছিগুলো কংক্রিটের বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় ও চারপাশের গাছপালায় প্রায় ৫০টির মত মৌচাক তৈরি করে।

বাড়িটিতে বছরে প্রায় পাঁচ মাসের মত মৌমাছিরা অবস্থান করে। গত সাত বছর থেকে বাদল চক্রবর্তীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়দের মধ্যে বাড়িটি ‘মৌমাছিদের বাসা’ হিসেবে পরিচিত। আর মৌচাক দেখতে প্রচুর মানুষ বাড়িটিতে ভিড় করেন।

স্থানীয় লাওহাটি বাজারে স্টেশনারি পণ্যের দোকান রয়েছে বাদলের। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলা মাস অগ্রহায়ণের (নভেম্বর) দিকে মৌমাছিরা দল বেঁধে আসে। বৈশাখ (এপ্রিল) পর্যন্ত থেকে তারা আবার চলে যায়।

তিনি বলেন, মৌমাছিগুলো প্রত্যেক বছরই নির্দিষ্ট সময়ে এসে ঠিক আগের জায়গাগুলোতে চাক তৈরি করে। আমাদের বাড়ির কেউ এদের বিরক্ত করে না আর এরাও কারও ক্ষতি করে না।”

বাদল আরও জানান, মৌমাছি পালন বা মধু সংগ্রহ সম্বন্ধে কোন প্রশিক্ষণ নেই তার।

“যে পাঁচ মাস মৌমাছিরা থাকে সে সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার মৌয়ালরা মধু সংগ্রহ করে দিয়ে যায়। সরিষা ফুল ফোটার পর প্রচুর পরিমাণে মধু পাওয়া যায়। আর আম ও লিচুর মুকুলের সময়ও অল্প পরিমাণ মধু পাওয়া যায়,” জানান বাদল।

তিনি জানান, পাঁচ মাসে ৮০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। সংগ্রহ করা মধু একা না নিয়ে প্রতিবেশী, আত্মীয় ও বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করার কিছু বাড়িতে রেখে বাকি অংশ বাজারে বিক্রি করে দেন তিনি।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago