পৃথিবীতে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ঠিক কত?

পৃথিবীর মাত্র ৯টি দেশের হাতে এই মুহূর্তে ১৪ হাজার ৯০০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আর এই বিপুল অস্ত্রসম্ভারের ৯৩ শতাংশেরই মালিক যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের সংগঠন ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস এই তথ্য জানিয়েছে।

যেসব দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে তারা হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও ইসরাইল। স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর ব্যাপক নিরস্ত্রীকরণের পরও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে এখনো হাজার হাজার পারমাণবিক অস্ত্র রয়ে গেছে।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ও যুক্তরাজ্য পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) স্বাক্ষর করেছে। ইসরাইল পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার না করলেও অনেকেরই ধারণা দেশটির কাছে ৮০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

পারমাণবিক অস্ত্রের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে ওপরের হিসাবের তুলনায় এ ধরনের অস্ত্রের সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী পারমাণবিক ক্ষমতাধর ৯টি দেশের কাছে মোট ১৫ হাজার ৩৯৫টি অস্ত্র রয়েছে। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিলো ১৫ হাজার ৮৫০।

১৯৪৫ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মত পারমাণবিক বোমা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। এর চার বছর পর ১৯৪৯ সালে রাশিয়া পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ২০০৬ সালে সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে।

ন্যাটো চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপের পাঁচটি দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার আন্তর্জাতিক চুক্তির পর পারমাণবিক কর্মসূচি ঠেকে ফিরে আসতে সম্মত হয় ইরান।

গত বছর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো আসো বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারিগরি জ্ঞান ও সক্ষমতা থাকলেও এমনটা করার পরিকল্পনা নেই দেশটির।

বিশ্বব্যাপী সামগ্রিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমলেও তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে কোন দেশই নিকট ভবিষ্যতে পুরোপুরিভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য প্রস্তুত নয়।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus on july charter 2025

Yunus rules out referendum over July Charter

Chief adviser insists party agreement key to polls; vows justice, reform ahead of election

4h ago