কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা হলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ হুসাইন ওরফে হোসেন (৬৪) ও মুহাম্মদ মোসলেম প্রধান (৬৬)। মোসলেম কারাগারে ও হুসাইন পলাতক রয়েছেন।
দুইটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হুসাইনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোসলেমের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।
হুসাইনের বড় ভাই সৈয়দ হাসান আলীও যুদ্ধাপরাধ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
আজ সাজাপ্রাপ্ত দুই রাজাকারের বিরুদ্ধে আনা ছয়টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলেছেন আদালত। দণ্ড কার্যকরে সরকার যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে।
উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার ৪১ দিন পর বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এই রায় প্রদান করেন।
ট্রাইব্যুনাল থেকে দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ২০১৫ সালের ৭ জুলাই নিকলি উপজেলার কামারহাতি গ্রাম থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হয়। আর হুসাইন ২০১৪ সালের ২১ মে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। সে বছর ১৩ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলায় রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন হুসাইন। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘রাজাকার দারোগা’ নামে পরিচিত। আর তার ভাই হাসান তারাইল উপজেলার রাজাকার বাহিনীর নেতা ছিলেন।
মোসলেম রাজাকার হুহাইনের সহযোগী ছিলেন।
Comments