পুলিশ পাহারায় সনু নিগমের বাড়ি

সনু নিগমের বাংলোর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে মুম্বাই পুলিশ। সম্প্রতি আজান এবং ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সে জন্যেই এই জোরদার নিরাপত্তা।

সনু নিগম তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেন, “স্রষ্টা সবার মঙ্গল করুন। আমি মুসলমান নই তবুও সকালবেলা আজান শুনে আমাকে ঘুম থেকে উঠতে হয়। কবে এই জোর করে ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া ভারতে বন্ধ হবে?”

এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবারও টুইট করে বলেন, “তাছাড়াও, মোহাম্মদ যখন ইসলাম প্রচার শুরু করেন তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তাহলে (টমাস আলভা) এডিসনের আবিষ্কারের পর এমন কর্কশ ধ্বনি কেন শুনতে হবে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সনু নিগমের এমন টুইটে সরগরম হয়ে ওঠে। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন সনু নিগমের মতো একজন মানুষের কাছে এমন উক্তি শুনে। তিনি কোন ধর্মকে ছোট করে কথা বলবেন এটা মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না তাঁদের কাছে। পরিস্থিতি আরও গরম হয়ে ওঠে যখন সনু লিখেন, “আমি এমন কোন মন্দির বা গুরুদুয়ারে বিশ্বাস রাখি না যারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সেইসব মানুষদের জাগিয়ে তোলে যারা সেই ধর্মের অনুসারী নন। তাহলে কেন..? সৎ? সত্য?”

অপর এক টুইটে তিনি এই কাজকে গুণ্ডাগিড়ি বলেও অভিহিত করেন।

সনুর এমন টুইটের বিষয়ে বাবা সেহগাল তাঁর টুইট বার্তায় সনু আরও একটু সংবেদনশীলভাবে বিষয়টা তুলে ধরতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন। এমনভাবে তাঁর পক্ষ-বিপক্ষ হতে থাকে।

সনু নিগমের এমন আচরণে যখন মানুষ ফুঁসছেন তখন সেই ফুঁসে ওঠা কিছু মানুষের রোষানলে পরে যেতে হচ্ছে আরেক সনু-কে। বলিউড অভিনেতা সনু সুদকে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে সনু নিগমের সঙ্গে। এ নিয়ে একজন লিখেছেন, “সনু সুদ তাঁর নামের প্রথম অংশ নিয়ে খুব শীঘ্রই আফসোস করবেন।”

অবাক চোখে সনু সুদেরও সহজ-সরল টুইট, “আমি এখনও বুঝছি না কে কাকে কি বলছেন। এবং কারা আমাকে কোথায় কি হয়েছে সেটা খুঁজে দেখতে বলছেন?”

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের জের ধরে সনু নিগম সুর বদলে এখন তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করার নাম করে বলছেন, “সুপ্রিয় সকল। আপনাদের কথা আপনাদের আইকিউ-টাকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমি আমার কথায় বুঝাতে চেয়েছি মসজিদ এবং মন্দিরে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দেয়া উচিত নয়।”

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Gazipur Police Commissioner Nazmul Karim withdrawn

He was withdrawn in the face of a controversy over closing one lane of a highway while travelling from Dhaka to his workplace

1h ago