লাকী আখন্দের জন্য শোকগাথা

‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘ফেরানো যাবে না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘লিখতে পারি না কোনও গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ ‘কি করে বললে তুমি’, ‘নীল মণিহার’, ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’, খ্যাত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোক নেমে এসেছে সবখানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গীতিকারসহ অনেকেই লাকী আখন্দের জন্য লিখেছেন শোকগাথা।
হুইল চেয়ারে লাকী আখন্দ। ছবি: স্টার

‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘ফেরানো যাবে না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘লিখতে পারি না কোনও গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’ ‘কি করে বললে তুমি’, ‘নীল মণিহার’, ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’, খ্যাত কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোক নেমে এসেছে সবখানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গীতিকারসহ অনেকেই লাকী আখন্দের জন্য লিখেছেন শোকগাথা।

কুমার বিশ্বজিৎ লিখেছেন, ‘আজও মনে পড়ে ১৯৭৭ সালে যেদিন তিনি আমাকে প্রথম অ্যালবামের জন্য গানটি দিয়েছিলেন। ‘যেখানে সীমান্ত  আমার’- যে গানটি আমাকে দিয়েছে নতুন জীবন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে লাকী ভাইয়ের অবদান ভুলে যাওয়ার নয়। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। প্রার্থনা করি, আপনি ওপারে স্বর্গসুখ পাবেন।’

শাফিন আহমেদ লিখেছেন, ‘লাকী ভাই আপনি আমাদের অনেক কালজয়ী গান দিয়েছেন। আপনাকে আমাদের মাঝে রেখে দিতে পারলে বাংলা গানের জন্য মঙ্গল হতো। কিন্তু তা না পারায় আমরা দুঃখিত। আপনার গান আমরা উপভোগ করে যাবো। আপনি শান্তিতে থাকুন।’

আলাউদ্দিন আলী লিখেছেন, ‘গতকাল শুনলাম বাসায় আছো, খুব ভালো আছো। একটু আগে পৌনে আটটায় এক সাংবাদিক জানালো তুমি সন্ধ্যায় চলে গেছো। আল্লাহকে বলি- তোমায় দেখে রেখো, শান্তিতে রেখো।’

চিরকুট ব্যান্ডের সুমী লিখেছেন, ‘সত্যিকারের এক শিল্পী। সৃষ্টিতে, ব্যক্তিত্বে। কোনোদিন নিজেকে জাহির করতে দেখিনি তাকে। তার জন্য শ্রদ্ধাটা তাই মন থেকেই। ভালো থাকবেন কিংবদন্তি লাকী আখন্দ। আল্লাহ আপনাকে নিশ্চয় শ্রেষ্ঠ জায়গায় রাখবেন!’

নাট্যকার মাসুম রেজা উল্লেখ করেছেন ‘এই নীল মণিহার’ গানটির কথা।

লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে তার আরমানিটোলার বাসায় শুক্রবার রাতে ছুটে গিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, ফাহমিদা নবী, গীতিকবি আসিফ ইকবালসহ আরও অনেকেই।

ফাহমিদা নবী বলেন,  ‘চাচার গান গেয়ে অনেক নাম করেছি আমরা। আমাদের অনেকর অহংকার হয়েছে। কিন্তু চাচা ছিলেন তার মতোই, একই- নির্মোহ মানুষ ছিলেন তিনি। বিশ্বাস করতে চাই, তিনি পরপারে সুখে থাকবেন। কারণ, এই মানুষটা এক জীবনে মুখ বুজে শুধু দিয়েছেন। প্রাপ্তির আশা করেননি কখনও।  আমরাও তাকে সেই মূল্যায়ন করতে পারিনি। তাই সৃষ্টিকর্তা চাচাকে নিশ্চয় ভালো রাখবেন। এই দোয়া করি মনভরে।’

Comments