ছোটদের ক্যাভিটির সমস্যা

ছোটদের ক্ষেত্রে ক্যাভিটির সমস্যা বেশি দেখা যায়। ক্যাভিটি হওয়ার পেছনে তিনটি প্রধান কারণ দেখা যায়, ব্যাকটেরিয়া, সুগার ও সময়। আমাদের মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া সব সময় উপস্থিত। সেটাকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয় না। তবে বাকি দুটোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাচ্চা কতটা মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাচ্ছে। কতক্ষণ ধরে খাচ্ছে বা খাওয়ার কত পরে মুখ ধোয়া হচ্ছে এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা কোনো মিষ্টি জিনিস নিয়ে না ঘুমায়।

দু’বেলা ব্রাশ করা জরুরি। বাচ্চারা বড়দের দেখেই শেখে। তাই নিজের সঙ্গে বাচ্চাকে নিয়ে দু’বেলা ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দুই থেকে ১২ বছর বয়সে ছয় ও সাত নম্বর পার্মানেন্ট দাঁতের গর্তে ক্ষয় বেশি হয়। আর ছয় ও সাত নম্বর দাঁত যেহেতু খুব জরুরি, তাই এই ক্ষয় প্রতিরোধ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাচ্চাদের জন্য ফ্লোরিডেটেড টুথপেস্ট খুব একটা উপযুক্ত নয়। অনেক ক্ষেত্রে ডেন্টিস্টরা ৬ বছর ও ১২ বছর বয়সে দাঁতে ফ্লোরাইড অ্যাপ্লিকেশনের পরামর্শ দেন। শুধু দাঁতে ব্যথা হলেই ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেবেন এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। যেমন নিয়মিত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হয়। শারীরিক সমস্যায়, তেমনি দাঁতের চেকআপ করাতে পারেন ৩ মাস অন্তর অন্তর।

ক্যাভিটির লক্ষণ বোঝা যায় বিভিন্ন কারণ থেকে। দাঁতে কালো কালো দাগ হয়। দাঁতের কিছুটা অংশ ভেঙে যেতে পারে। দাঁতে ব্যথা হয়। জ্বর  আসতে পারে মিষ্টি খাবার খেলে দাঁত শিরশির করে। ঠাণ্ডা-গরমেও দাঁতে ব্যথা হয়। দাঁত ও মাড়ির মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীর খারাপ লাগতে পারে।

অনেক সময় ক্যাভিটির সময়মতো চিকিৎসা না হলে দাঁতের পাল্প ইনফেকটেড হয়ে যেতে পারে। মাড়ির নিচে অ্যালভিওলার বোনে অ্যাবসেস বা পুঁজ জমে যেতে পারে। গাল ফুলে যেতে পারে। জ্বর হয়। এতে দাঁত তুলে ফেলা ছাড়া কোনো উপায়

থাকে না।

দাঁতে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একটি দাঁতে ক্যাভিটি হলে খুব তাড়াতাড়ি বাকি দাঁতে হতে পারে। বড়দের মতো বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও ফিলিং ক্রাউনিং ক্যাভিটি সারাবার সবচেয়ে ভালো উপায়।

হেলদি এনামেলের জন্য দাঁত ওঠার আগে থেকেই বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘সি’ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন। দই, দুধ, ড্রাই ফ্রুট, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, ব্রকোলি, লেটুস এগুলোতে বাচ্চার দাঁতের উপকার হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago