সাইবার ঝুঁকিতে দেশের ৫২ শতাংশ ব্যাংক: সমীক্ষা
গতবছর দেশের শতকরা ৫২ ভাগ ব্যাংক সাইবার ঝুঁকির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়েছিলো। এগুলোর মধ্যে ১৬ শতাংশ ব্যাংক ছিলো চরম ঝুঁকির মধ্যে।
রাজধানীতে গতকাল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ব্যাংকগুলোর আইটি অপারেশনের ওপর এক কর্মশালায় উপস্থাপিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সমীক্ষা চালানো হয়েছে এমন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশ ব্যাংক যে কোনো সময় তথ্য হারানোর বিষয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। শতকরা ৩২ ভাগ ব্যাংক মাঝারিমানের ঝুঁকি এবং ১৬ শতাংশ ব্যাংক কম ঝুঁকিতে রয়েছে।
কর্মশালায় বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন খান এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এতে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর আইটি বিভাগের জন্যে বরাদ্দ অর্থের সবচেয়ে বড় অংশটি খরচ হয় হার্ডওয়্যার কেনায়। ২০১৬ সালে হার্ডওয়্যার কিনতে খরচ হয়েছিলো ৪০.৪ শতাংশ যা ২০১৫ সালে ছিলো ৪১.৯ শতাংশ।
এরপর, বরাদ্দের দ্বিতীয় বড় অংশটি খরচ হয় সফটওয়্যার কেনায়। গত ছয় বছর থেকে দেখা যাচ্ছে যে নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ এবং হিসাব পরীক্ষায় খুব কম পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়।
গতবছর ব্যাংকিং খাতের আইটি সিস্টেমে লগ্নি করা হয়েছিল ১,৭৯৩ কোটি টাকা যা ২০১২ সালের থেকে ২২ শতাংশ বেশি।
আইটি বিভাগে লোকবল সন্তোষজনক নয়। উপরন্তু, এই বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত লোকদেরকে অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়, বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
এর মতে, গতবছর নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার পর এদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা শতকরা ৬০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে ।
এই ঘটনার পর, দেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বেড়েছে ৮৪ শতাংশ।
গতবছর দেশের ব্যাংকগুলোর ৯৭ শতাংশ টার্মিনালে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে ছিলো। এক্ষেত্রে লিনাক্সের ব্যবহার ছিলো ০.৩৫ শতাংশ, ২.১৪ শতাংশ গুগল ক্রোম, ০.৪৯ শতাংশ ইউনিক্স এবং ০.০২ শতাংশ ম্যাক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
Comments