কক্ষপথে ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট’

ভারত থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর সার্কের ৬ দেশের নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স

ভারত সফলভাবে গতকাল ‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করেছে। স্যাটেলাইটটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ, দুর্যোগ মোকাবেলা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাসসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হবে।

অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতিশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে স্যাটেলাইটটি। ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছে। এর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১২ বছর।

সার্কভুক্ত সাতটি দেশ– ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এই প্রকল্পের অংশীদার। তবে নিজেরা স্যাটেলাইট তৈরি করার কথা বলে এর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান।

সদ্য উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটটি ব্যাংকিং, টেলিযোগাযোগ, সম্প্রচার, টেলিমেডিসিন, শিক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণেও সহায়ক হবে।

দুই হাজার ১৯৫ কেজি ওজনের স্যাটেলাইটটিতে ১২টি শক্তিশালী কু-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত দুইটি ট্রান্সপন্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাবে ছয়টি দেশ। তবে এর সাথে সিগনাল আদান-প্রদানের জন্য অংশগ্রহণকারী দেশের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারতের উদ্যোগকে এই অঞ্চলে চীনের মহাকাশ কূটনীতির পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। চীন তার দীর্ঘদিনের মিত্র পাকিস্তানকে ২০১১ সালে যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সহযোগিতা করেছে। এর পরের বছর শ্রীলঙ্কাকেও অনুরূপ সহযোগিতা করেছে দেশটি।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের নেতাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি

বাসসের খবরে জানানো হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশের নেতাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জনগণের উন্নতি সহযোগিতার নানাক্ষেত্রে দেশগুলোর সফলভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এই অঞ্চলকে একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেখানে আমরা সুপ্রতিবেশীর মতই বসবাস করে আমাদের জনগণের জন্য গঠনমূলক নীতির বাস্তবায়ন করতে পারি, যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ গণি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী থেসারিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুম, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা শ্রীসেনা। তাদের নিজ দেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Stocks fall on poor performance of large companies

Indexes of the stock market in Bangladesh declined yesterday on rising the day before, largely due to the poor performance of Islami Bank Bangladesh along with the large-cap and blue-chip shares amid sales pressures..Large-cap refers to shares which account for large amounts in market capi

1h ago