৬২ হাজার রুপি ছাগলের পেটে!

goat
ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার সিলপুর গ্রামের দীনদরিদ্র কৃষক সর্বেশ কুমার পালের ছাগল গিলে ফেলল ২ হাজার রুপির ৩১টি নোট।

বাংলায় প্রচলিত প্রবাদ – “ছাগলে কিনা খায়, পাগলে কিনা কয়”! এই প্রবাদের প্রথম অংশের প্রমাণ যদি এমন হয় যে, ছাগল গিলেই ফেলল ২ হাজার রুপির ৩১টি নোট – তবে কি বলবেন আপনি?

অর্থাৎ, ৬২ হাজার রুপি চর্বিত-চর্বণ এক্কেবারে মণ্ড হয়ে গেলো ছাগলের পাকস্থলীতে!

পাঠককুল ঘটনার কথা শুনে আনন্দ পেলেও এমন ঘটনায় কিন্তু বেকায়দায় পড়েছেন ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার সিলপুর গ্রামের দীনদরিদ্র কৃষক সর্বেশ কুমার পাল। বহু কষ্টে ৬৬ হাজার রুপি জমিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি বানানোর জন্য। কিন্তু সেই বাড়ি বানানোর স্বপ্ন ছাগলের পেটে মণ্ড হয়ে ফিরছে।

সম্প্রতি, প্যান্টের পকেটে ৩৩টি দুই হাজার রুপির নোট রেখে গোছল করতে গিয়েছিলেন সর্বেশ। আধঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখতে পান তাঁর পোষা ছাগল ৩১টি নোট ইতোমধ্যেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে। দুটি নোট কোনও রকমে বাঁচাতে সক্ষম হোন তিনি। ঘটনা আকস্মিকতায় মাথায় হাত দিয়েই বসে পড়েন ওই কৃষক। পরিস্থিতি সামলে নেন কোনভাবে। তবে ছাগলের উপর অত্যাচার করেননি সর্বেশ। কেননা, ছাগলটিকে পুত্রসমতূল্য মনে করেন তিনি।

গ্রামবাসীরা ছাগলের ৬২ হাজার রুপি খাওয়ার খবর পেয়ে সর্বেশ কুমারের বাড়িতে ভিড় জমান। অনেকেই রুপি গেলা ছাগলকে “অপয়া ছাগল”, “কুলাঙ্গার ছাগল” বলে অপবাদ দিয়ে তাকে বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছেন সর্বেশের কাছে। আবার কেউ বলেছেন, পেট কেটে রুপি বের করো সর্বেশ।

কিন্তু না, কোনও কথাই শোনেননি মধ্যবয়স্ক ওই কৃষক। তিনি মনে করেন, সন্তান যদি ভুল করে অন্যায় করে তাহলে তাকে কি এভাবে বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব হতো। সেটা যদি অসম্ভব হয়, তবে ছাগলের কোনও দোষ নেই।

৬২ হাজার রুপি গিলে ফেলা ছাগল এবং কৃষক সর্বেশ কুমার পাল ইতোমধ্যেই ভারতীয় মিডিয়ার শিরোনাম সংবাদ হিসাবে জায়গা পেয়েছে। এটাই বা কম কিসের?

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

15h ago