ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদে, ক্ষোভে উত্তাল বগুড়া

গতকাল বগুড়া শহরের সাতমাথা মোড়ে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধনে চোখে কালো কাপড় বেঁধে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। ছবি: স্টার

বগুড়ায় শ্রমিক লীগ নেতার দ্বারা ছাত্রী ‘অপহরণ ও ধর্ষণ’ এর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বগুড়ার মানুষ। ধর্ষণে জড়িত ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে যারা নির্যাতন চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি উঠেছে।

গতকাল বগুড়া শহরের সাতমাথা মোড়ে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন হয়েছে। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। কালো কাপড়ে নিজেদের চোখ বেঁধে তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেন।

ধর্ষণবিরোধী ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল ঘটনার মূল অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও অপরাধে তার দুই সাহায্যকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাত দিন করে রিমান্ড চাইলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সেই সাথে পুরো ঘটনায় জড়িত আরও ছয় জনকে গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

একাধিক মাদক মামলার আসামী তুফান ও তার সহযোগী আলী আজম ও রুপমকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে বগুড়ার চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুন্দর রায় তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডে পাঠান। গ্রেফতার আরেকজন আতিকুর রহমান বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ায় পুলিশ তার জন্য রিমান্ড আবেদন করেনি। শুক্রবার রাতে এই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

‘ধর্ষিতা’র মা তুফান, আলী আজম, রুপম, তুফানের স্ত্রী আশা সরকার ও তার বড় বোন মার্জিয়া হাসান রুমকি সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। এর মধ্যে মার্জিয়া হাসান রুমকি কাউন্সিলর।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিকলীগের বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান গত ১৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। দলের ক্যাডার ও ওই নারী কাউন্সিলরকে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে তুফান। গত শুক্রবার তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর মাথার চুল কামিয়ে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago