জীবনের কিছু বিষয় না বলাই ভালো: আইয়ুব বাচ্চু

অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবি-র লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল ছিলেন। গত ১৬ আগস্ট তিনি শেষ জন্মদিন পালন করেন। গত বছর জন্মদিন উপলক্ষে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। কথা বলেছিলেন জীবন-মৃত্যু নিয়ে। আজ সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। তার স্মরণে সাক্ষাৎকারটি পুনঃপ্রকাশিত হলো।

ডেইলি স্টার অনলাইন: জীবনের উপলব্ধিটা নিজের কাছে কেমন?

আইয়ুব বাচ্চু: চোখ মেললেই জীবন। চোখ বন্ধ করলেই আর জীবন নেই। জীবনের রংটাই এরকম। আমাদের সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি একইরকম। জীবন সে তো তার মতো করেই চলবে। কাউকে বলে কয়ে চলবে না। আমরা কেউ জানি না ঠিক পর মুহূর্তে কী হতে যাচ্ছে।

ডেইলি স্টার অনলাইন: জন্মদিনের পরিকল্পনা কী? কেমনভাবে কাটাবেন?

আইয়ুব বাচ্চু: সকালে একটি অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের পর থেকে টানা স্টুডিওতে আছি। ব্যান্ডের সদস্যরা আসছেন। নিজেদের মতো করেই সময় কাটাচ্ছি। আমার গানপ্রিয় ভক্তরা বিকেলে বেইলি রোডের একটি ক্যাফেতে পার্টির আয়োজন করেছেন। পার্টি শেষে বাসার মানুষদের সঙ্গে কাটবো বাকিটা সময়।

ডেইলি স্টার অনলাইন: অনুপ্রেরণা কোথায় খুঁজে পান এখন?

আইয়ুব বাচ্চু: আগের মতো এখন অনেক কিছুই আমাকে আর অনুপ্রাণিত করে না। এখন বেঁচে থাকাটা আমার ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য, যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন। যাঁরা আমার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভেজেন। যাঁরা প্রচণ্ড রোদে পুড়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করেন। যাঁরা আমার প্রতি স্নেহ-মমতা প্রকাশ করেন। এখন নতুন কোন স্বপ্ন দেখি না যার জন্য আমাকে বেঁচে থাকতেই হবে।

ডেইলি স্টার অনলাইন: মৃত্যু নিয়ে কোন ভাবনা কাজ করে কি?

আইয়ুব বাচ্চু: তাতো করবেই। মানুষের জীবন হচ্ছে ঢেউয়ের মতো। প্রতিদিন একই তালে চলবে না। একেকদিন একেক ধরনের ঢেউ আসবে। তাই আমি মনে করি না যে জীবন প্রতিদিন একই গতিতে চলবে।

ডেইলি স্টার অনলাইন: গতবছর জন্মদিনে আত্মজীবনী লেখার কথা বলেছিলেন।

আইয়ুব বাচ্চু:  ইচ্ছে একটা ছিল, কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই ভাবলাম জীবনে কিছু বিষয় না বলাই ভালো। কিছু কিছু দুঃখ, কিছু কিছু স্মৃতি, স্বপ্ন – এসব নিয়ে কথা না বলাই ভালো। তবে আশা করি, কোন না কোন সময় কিছু কথা বলে যাব।

ডেইলি স্টার অনলাইন: সংগীত নিয়ে এখন চাওয়া কী?

আইয়ুব বাচ্চু: আমার একটাই চাওয়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সংগীতশিল্পীরা যদি এক কাতারে এসে দাঁড়ান, তাহলে সবার এক সঙ্গে বাঁচার একটি উপায় থাকবে হয়তো।

ডেইলি স্টার অনলাইন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের পক্ষ থেকে।

আইয়ুব বাচ্চু: সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

স্ত্রী চন্দনা ও দুই সন্তান ফায়রুজ ও তাজওয়ারের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চু। ছবি: এবি কিচেনের সৌজন্যে

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago