দার্জিলিংয়ের শান্তি ফেরাতে দ্বিতীয় বৈঠক ‘ইতিবাচক’

darjeeling unrest
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে গত ১২ জুন থেকে দার্জিলিংসহ পার্বত্য অঞ্চলে লাগাতার হরতাল চলছে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিংয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে দ্বিতীয় বৈঠক “ইতিবাচক” বলে দাবি করেছে সব পক্ষ।

আজ (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, আন্দোলনকারী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ এবং জাপ নেতৃত্ব।

এর আগে শিলিগুড়ি জেলায় রাজ্য সরকারের উত্তরবঙ্গের সচিবালয় “উত্তরকন্যা”-য় পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান রাজনৈতিক দল ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাহাড় ইস্যুতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে আন্দোলনকারী মোর্চার বেশ কিছু দাবিও মেনে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। একইভাবে দার্জিলিয়ে শান্তি ফেরাতে পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বও সহমত পোষণ করেছেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিং করতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, “ইতিবাচক আলোচনায় সব পক্ষ পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে একমত হয়েছেন। গণতন্ত্রে আলোচনার বিকল্প নেই। ২৯ আগস্ট কলকাতার নবান্নে বৈঠকের পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আগামী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৬ অক্টোবর। মোর্চার কিছু দাবি আমরা বিবেচনা করছি।”

দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আন্দোলনের কারণে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা ও ভর্তি - এসব বিষয়ে ছাড় দেওয়া সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসছে পুজোয় সরকারি চাকরিজীবীদের অগ্রিম বেতন দেওয়া হবে।

মমতা এ সময় আশা প্রকাশ করে বলেন, “পাহাড় আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আশা করি, খুব শিগগিরই পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ ফিরে আসবে”।

আন্দোলনকারী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষে বৈঠকে বিনয় তমাঙ্গ ছাড়াও ছয় শীর্ষ নেতা-নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। তবে এদিনও রাষ্ট্রদ্রোহিতায় মামলায় “পলাতক” থাকায় মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং ও রোশন গিরি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।

জিএনএনএল নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “বিরোধিতা সত্ত্বেও শান্তির জন্য সবাই এক টেবিলে আলোচনায় বসার এই উদ্যোগই প্রমাণ করে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। পাহাড়ে শান্তি ফেরার জন্য সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রয়েছে।”

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে গত ১২ জুন থেকে দার্জিলিংসহ পার্বত্য অঞ্চলে লাগাতার হরতাল চলছে। প্রায় তিন মাসের এই অচলাবস্থায় ছয়শো কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago