এই বাংলাদেশই নাকি ছয়শ করে ফেলবে!
৩২০, ৯০ আর ১৪৭। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দুই টেস্টের প্রথম তিন ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট রান ৫৫৭। চলছে শেষ ইনিংস। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা তবু ম্যাচ হার তো নিশ্চিতই বলা যায়। বাস্তবতা মাথায় নিলেই ইনিংস হারের সামনেই দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। অথচ ব্লুমফন্টেইনে প্রথম ইনিংসে ৭০ রান করা লিটন দাস বললে দ্বিতীয় ইনিংসে নাকি ছয়শ রানও করে ফেলতে পারেন তারা!
তিন ইনিংসে মিলিয়েই যারা ছয়শ রান করতে পারে না । তারা কিনে এক ইনিংস তা করবে? চোখে কপালে উঠার মতই কথা বটে। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের যতটা আলো তার সবই যেন লিটনকে ঘিরে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। দলকে বাঁচিয়েছেন টানা দুই ইনিংসে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়া থেকে। তাগড়া পারফরম্যান্সের পর কথায় আত্মবিশ্বাসের যেন বিস্ফোরণ, ‘লক্ষ্য এখন অনেক বড়। আমরা অনেক ব্যাকফুটে। চেষ্টা করব যেন ভালো খেলা যায়। এমন কিছু তো হতেই পারে, এখান থেকে আমাদের কোনো ব্যাটসম্যান দুইশ মেরে দিতে পারে। কোনো কিছুই অসম্ভব না। আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ছয়শও করতে পারি। তখন তারা আবার ব্যাটিংয়ে আসতে পারে। এই আশায় আছি আমরা।’
লিটনরা মাঠে খেলেন। আশা হারালে তাদের চলা না। তবে বেহাল দশায় আশা দেখছেন না সমর্থকরা। বরং সবারই জিজ্ঞাসা। কেন এই হাল? লিটনের জবাব, ‘এমন দিন যাবে তা তো কখনোই কেউ আশা করে না। আমরা ভালো দল, এর চেয়ে ভালো খেলতে পারি। কিন্তু ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। এটা মেনে নিতে হবে আপনাকে।’
যে উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার চার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করতে পারেন। তাইজুলকে নিয়ে সাবলিল জুটি গড়তে পারেন লিটন। বাকিদের এত নাজেহাল অবস্থার কি ব্যাখ্যা, ‘আমরা দশ বছর পর এখানে এসেছি। এই কন্ডিশনে বা এই উইকেটে খেলে আমরা অভ্যস্ত না। অজুহাত দেখানো যদিও ঠিক না, আমাদের ভেতর এরকম অনেক কিছুই কাজ করে। এর চেয়ে আমরা ভালো দল। হয়তো পরের ইনিংসে আমরা ভালো খেলব।’
পচেফস্ট্রমে ৩৩৩ রানে হারার পর ব্লুমফন্টেইনে আরও বড় হারের সামনে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে বাহবা পেলেও লিটনের অতি আশাবাদে আস্থা পাচ্ছেন কজন?
Comments