আসছে বিস্ময়কর জাতের গম

BAW

দেশের গম চাষিদের জন্যে সুখবর। আসছে এক বিস্ময়কর জাতের গম। জিঙ্ক-সমৃদ্ধ এই জাতের গমে থাকবে ছত্রাক-প্রতিরোধক ক্ষমতাও।

অনেকদিন থেকেই দিনাজপুরের গম গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা একটি জিঙ্ক-সমৃদ্ধ নিজস্ব জাতের গম উৎপাদনের চেষ্টা করে আসছিলেন। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক কনসালটিভ গ্রুপ অন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ এর বায়ো-ফর্টিফিকেশন মিশন “হাবেস্টপ্লাস” এ বিষয়ে গম গবেষণা কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়।

যখন প্রচলিত বিভিন্ন জাতের গমে ৪০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) জিঙ্ক থাকে তখন “বিএডব্লু ১২৬০” জাতের এই গমে থাকবে ৫৫ পিপিএম জিঙ্ক।

কিন্তু, গত বছর এবং এ বছরের শুরুতে গমের ব্লাস্ট রোগের কারণে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছিলো। গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা আবারও চেষ্টা চালান গমের জিঙ্ক সমৃদ্ধির পাশাপাশি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে। অবশেষে, সাফল্য ধরা দেয় তাঁদের হাতে।

গত সপ্তাহে তাঁদের এই সাফল্যকে অনুমোদন দিয়ে জাতীয় বীজ বোর্ড এই জাতের গমের নাম দিয়েছে “বারি গম-৩৩”। এই জাতের গম আবাদ করলে হেক্টর প্রতি ৪.৬ টন ফলন পাওয়া যাবে, যা বাংলাদেশে আগে কখনো সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও, চাষিরা তাপ-সহিষ্ণু এই জাতের গম মৌসুম শুরুর খানিক দেরিতে রোপণ করে আবার তা দেরিতে সংগ্রহ করতে পারবেন।

গম গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জানান, গত বছর এশিয়াতে বাংলাদেশেই প্রথম ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ার পর ব্লাস্ট-প্রতিরোধক গমের একটি জাত বের করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

গম গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক নরেশ চন্দ্র দেব বর্ম গতকাল (১৪ অক্টোবর) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “কোন একটি জাতের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ব্লাস্ট-প্রতিরোধক জাতের গম নিয়ে গবেষণা করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এ সাফল্যের জন্যে দেশি-বিদেশি সংস্থাদের নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।”

 

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

1h ago