জেতার জন্য ২৭৮ রান কি যথেষ্ট?

মুশফিকুর রহিম

টস জেতার সময় দুই অধিনায়কই নিতে চেয়েছিলেন ব্যাটিং। উইকেটে নাকি আছে প্রচুর রান। ইনিংস শেষে দলের সংগ্রহে খুব কি সন্তুষ্ট মাশরাফি মর্তুজা? নাকি বাংলাদেশকে তিনশ রানের নিচে বেধে রাখতে পারায় খুশি ফাফ ডু প্লেসি? মুশফিকুর রহিমের অপরাজেয় সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে ২৭৮ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা। উইকেটও খুব ভালো। বাংলাদেশ দলে নেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।সব মিলিয়ে এই রান কি করতে আসলে ঘাম ঝরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। 

দলের অন্যতম দুই সেরা পারফরমার তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে  ছাড়াই খেলতে নামা বাংলাদেশকে অক্সিজেন যোগান দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৬৩ রানে দুই ওপেনার আউট হয়ে গেলে উইকেটে এসেছিলেন। আর যাননি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১১৬ বলে করেছেন ১১০ রান। টেস্টে হারের পর নানা বিতর্কে চাপে থাকা মুশফিক খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। গড়েছেন জুটি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৯ রান। চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৬৯  রান। বাকিরা ইনিংস বড় করতে না পারলে মুশফিক ছিলেন অবিচল। 

বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত ছিল সাকিব আল হাসানের ব্যাটে। ৪৫ বলে ২৯ রান করে আউট হওয়া এই অলরাউন্ডার এই ম্যাচে গড়েছেন আরেক রেকর্ড। ওয়ানডেতে ইতিহাসের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। 

মাহমুদউল্লাহ ইনিংস বড় করতে পারলেও আরও স্বস্তিতে  থাকত বাংলাদেশ। ২৭ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন ছন্দে। বড় কিছু করতে পারেননি সাব্বির রহমান। ২১ বলে ১৯ রান করেই ফিরেছেন তিনি। সুযোগ পাওয়া নাসির হোসেন ৮ বলে করেছেন ১১ রান। শেষ পর্যন্ত দলের সংগ্রহ ২৮০ রানের কাছাকাছি যেতে পেরেছে অভিষিক্ত সাইফুদ্দিনের সৌজন্যে। এই পেস অলরাউন্ডার ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১১ বলে ১৬ রান। 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশে আছেন কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি, এবিডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, ডেভিড মিলারের মতো ব্যাটসম্যানরা। মোস্তাফিজকে না পাওয়া বাংলাদেশ খেলছে চার পেসার নিয়ে। মাশরাফির সঙ্গে রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ তো আছেনই। পেস অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন খেলছেন প্রথম ম্যাচ। স্পিন বিভাগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। এই পূঁজি নিয়েই বোলাররা দলকে জয় এনে দিতে পারেন কিনা এখন এটাই দেখার। বাস্তবতা বলছে কাজটা আসলে ভীষণ কঠিন। এক্সপ্রেস কোন পেসার নেই, চমক জাগানো কোন স্পিনারও নেই। সীমিত শক্তি নিয়ে হয়ত কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য।  

 



  

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

2h ago