এমন হারের পর যা যা বললেন মাশরাফি
২৭৮ রান করেও ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ইতিহাসে এত রান করে এত বাজে হারার ঘটনা আর নেই। বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান দুই ওপেনার হাশিম আমলা আর কুইন্টেন ডি কক। বাজে হারের পর দলের হয়ে কথা বলতে আসতে হয়েছিল অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাকে। কি বললেন তিনি?
রান যথেষ্ট ছিল কিনা?
মাশরাফি: এই উইকেটে ২৭৮ রান নিয়েও জেতা সম্ভব ছিল, যদি আমরা শুরুতে উইকেট নিতে পারতাম। দুই দিক থেকেই আমরা যদি চাপ তৈরি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো সম্ভব হত।
বোলিং নিয়ে
মাশরাফি: অবশ্যই আজকে যে বোলিং করেছি তা পুরোপুরি হতাশাজনক। …ম্যাচের মাঝামাঝি পর্যায়ে যদি ৫-৬টা উইকেট নিতে পারতাম তাহলে ম্যাচ আমাদের পক্ষেও থাকতে পারত।
সাত বোলার ব্যবহার করেও এক উইকেট ফেলতে না পারা নিয়ে
মাশরাফি:এসব উইকেটে যদি দুই পাশ থেকে পার্টনারশিপ বোলিং না করা যায় তাহলে উইকেট পাওয়া খুব কঠিন। আমরা যে বোলিং করেছি, আমি নিশ্চিত সব বোলার চিন্তা করবে এটা নিয়ে। অবশ্যই এই বোলিং তাদের নিজেদের পরিকল্পনায় ছিল না। এখান থেকে অবশ্যই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
এক পাশ থেকে রান বের হয়ে গেলে অন্য পাশে যে ভালো বোলিং করছে তাকে আর ব্যাটসম্যানের মেরে খেলতে হয় না। এই ধরনের উইকেটে এই বোলিংটা আজকে মিসিং ছিল। দুই পাশ থেকেই ভালো বোলিং করতে পারিনি। শুরুতে বা শেষে যদি কিছুটা সময়ের জন্য আমরা এভাবে বোলিং করতে পারতাম তাহলে হয়তো ব্রেক থ্রু পেতে পারতাম। সেটা আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পারিনি।
মোস্তাফিজের না খেলা প্রসঙ্গে
মাশরাফি:ব্যাপারটা কাল থেকে আমরা সবাই জানি। মুস্তাফিজের যখন থেকে লেগেছে তখন থেকে জানি ও আউট অব দ্য টুর্নামেন্ট। আমি যতটুকু জানি, ও এই সিরিজ থেকে পুরোপুরি বাদ। আপনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
তামিমের না খেলা নিয়
মাশরাফি:তামিমের ব্যাপারে আমরা শেষ সময় পর্যন্ত ভাবছিলাম। তবে ফিজিও ওকে নিয়ে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চায়নি। চোটটা এখনও তামিমকে ভোগাচ্ছে। আশা করি, পরের ম্যাচের আগে ও ঠিক হয়ে যাবে।
হয়তো আপনারা শেষ খবরটা জানতে পারেননি। সিদ্ধান্তটা রাতে হয়েছে, সবার সঙ্গে বসে। এই সিদ্ধান্ত তামিম আর ফিজিও সবচেয়ে ভালো নিতে পারবে। কোচের সঙ্গে তামিমের মনোমালিন্য বা অন্য কোনো খেলোয়াড়ের মনোমালিন্য এখানে নেই।
আরও পড়ুনঃ মোস্তাফিজের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ!
Comments