বাংলাদেশের ইনিংস যেন ডট বলের সমাহার

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬০ রানের ইনিংস খেলার পথে মুশফিকুর রহিম, ছবি: এএফপি

স্কোরকার্ড বলবে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে ডুবিয়েছেন বোলাররা। প্রথমটিতে  ২৭৮ রান ডিফেন্ড করতে গিয়েও কোন উইকেট ফেলতে না পারা। পরের ম্যাচে ৩৫৩ রান দিয়ে দেওয়া। কাঠগড়ায় প্রধান আসামী বোলাররাই। তবে ব্যাটিং স্বর্গতেও কি নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতে পেরেছেন ব্যাটসম্যানরা?

সিঙ্গেলস রানকে বলা হয় একদিনের ক্রিকেটের প্রাণ। যতো বেশি সিঙ্গেলস, যতো বেশি স্ট্রাইক রোটেট, তত বেশি সচল রানের চাকা। গড়ে উঠে জুটি। থিতু হতে না পেরে বাড়ে বোলার-ফিল্ডারদের হতাশাও। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তা করতে পারেননি। দুই ম্যাচেই খেলেছেন অর্ধেকেরও বেশি ডট বল।

প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে বোর্ডে ২৭৮ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। যাতে ছিল ১৫৮টি ডট বল । মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত সেঞ্চুরির পরও তাই দলের স্কোর তিনশ থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৩ ওভারেই ১০ উইকেটে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি কক মিলে ডট বল খেলেন ৮৯টি। বাংলাদেশের ঠিক বিপরিতে ক্রমাগত স্ট্রাইক রোটেট করে গেছেন তারা। আমলা ৯৯ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান কিন্তু তখন তার বাউন্ডারি ছিল মাত্র ৮টি, অথচ স্ট্রাইক রেট ঠিকই ১০০ এর উপরে। অবশ্য দুনিয়ার তাবৎ ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই সবচেয়ে কম ডট বল খেলার সুনাম আছে আমলা আর ডি ভিলিয়ার্সের। 

দ্বিতীয় ওয়ানডে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়াদের ৩৫৩ রানের ইনিংসে ডট বল ছিল মাত্র ৯৫টি। এবিডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে লন্ডভণ্ড টাইগারদের বোলিং ঠেকাতে পারেনি বাকি ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রোটেশন। ওদিকে ওই পাহাড়সম রান তাড়া করতে গিয়ে আবারও ডট বলের সমাহার যেন বাংলাদেশের ইনিংসে। ২৪৯ রানের ইনিংসে টাইগার ব্যাটসম্যানরা খেলেছেন ১৫১টি ডট বল। রান তাড়ায় স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় তরতর করে বেড়েছে আস্কিং রান রেট, বেড়েছে চাপ। বড় শট খেলতে গিয়ে কুপোকাত হয়ে ইনিংস থামাতে হয়েছে ১৩ বল আগেই।

দুই ওয়ানডেতেই অন্তত ৫০টি ডট বলের জায়গায় এক রান করে নিতে পারলেও খেলার ফল ভিন্ন হতে পারত। হার জিতের আরও কাছাকাছি যেতে পারত বাংলাদেশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago