স্ট্রিক্স-আনন্দধারা হেয়ারস্টাইলিং বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান

স্ট্রিক্স-আনন্দধারা হেয়ারস্টাইলিং ও মডেল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আজ (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের এ এস মাহমুদ হলে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় হেয়ারস্টাইলিং বিভাগে নিসা হাই প্রথম পুরস্কার, লিয়া নাজ আহমেদ দ্বিতীয় পুরস্কার এবং সেগুফতা আজমী তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
মডেল ফটোগ্রাফি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন যথাক্রমে মোহাম্মদ জাহিদ হাসান, সাদমান সাকিব শান্ত এবং আলী আশযায়ী রুফাই।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্ট্রিক্স হেয়ার কালারের সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার শহীদ কবীর। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার বিচারক বিউটি এক্সপার্ট আফরোজা পারভীন, হেয়ার এক্সপার্ট কামরুল ইসলাম এবং স্টার শোবিজ এবং আনন্দধারার সম্পাদক রাফি হোসেন।
তরুণদের মধ্য থেকে সেরা হেয়ারস্টাইলিস্ট ও মডেল ফটোগ্রাফার খুঁজে নেওয়ার জন্যে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে গত ১৭ আগস্ট থেকে দুদিনব্যাপী স্ট্রিক্স-আনন্দধারা হেয়ারস্টাইলিং ও মডেল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার হেয়ারস্টাইলিং বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন ১২জন তরুণ বিউটিশিয়ান, যারা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিযোগিতায় বিউটিশিয়ানরা সুপরিচিত ১২জন মডেলকে সাজান। তাঁদের সাজ বিবেচনা করে বিচারকরা বিজয়ী হিসেবে বেছে নেন সেরা তিনজনকে।
এদিকে, সেই মডেলদের ছবি তুলেন ১২জন ফটোগ্রাফার। সেই ছবি বিবেচনা করে বিচারকরা তিনজনকে সেরা মডেল ফটোগ্রাফার হিসেবে ঘোষণা দেন।
আজকে পুরষ্কার হাতে বিউটি ব্লগারদের মধ্যে প্রথম জয়ী নিসা হাই বলেন, “সব বিষয়েই সবাইকে ভালো হতে হবে এমন কথা নেই। যে যে বিষয়ে আগ্রহী সে সে বিষয়ে কাজ করে গেলেই একসময় আমার মতো তিনিও প্রথম পুরষ্কার অর্জন করতে পারবেন।”
দ্বিতীয় স্থান অধিকারী লিয়া নাজ বলেন, “যে কোন সাফল্যের পিছনে পরিবারের ভূমিকা থাকা উচিৎ। আমার পরিবারের সহযোগিতার ফলেই আজ আমার এই অর্জন।”
নিজের পছন্দের কাজ থেকে সাফল্যের পুরষ্কারটি দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের হাত থেকে নিতে পেরে খুবই আনন্দিত সেগুফতা আজমী। তিনি রূপ বিশেষজ্ঞ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবায়ন করতে তিনি আজীবন চেষ্টা চালাবেন।
এদিকে, মডেল ফটোগ্রাফি বিভাগে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী মোহাম্মদ জাহিদ হাসান আইইউবি’র ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বিজয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “এটিই আমার জীবনের প্রথম পুরস্কার আগে পাওয়া হয়নি। পড়ালেখাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফটোগ্রাফিটা শখের বশে করি। সব সময়ই ফটোগ্রাফিকে শখ হিসেবে রাখার ইচ্ছা রয়েছে।”
এ বিভাগে দ্বিতীয় পুরস্কার পাওয়া সাদমান সাকিব শান্ত এআইইউবি-তে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি শেষ করেছেন। তিনি বলেন, “এটি আমার জীবনে একটি বর এচিভমেন্ট। আমি ওয়েডিং ও ফ্যাশন ফটোগ্রাফি করতে চাই। এ পুরস্কারটি আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিবে।”
বিভাগের তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী আলী আশযায়ী রুফাই আইইউবি-তে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন এ প্রথম বিভাগের ছাত্র। তাঁর মতে, “ফ্যাশন ফটোগ্রাফিতে অভিজ্ঞতা কম ছিলো। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টপ মডেলদের সঙ্গে কাজ করা হলো। ফটোগ্রাফিকে শখ হিসেবে রাখতে চাই।”
অনুষ্ঠানে কস্টিউম পার্টনার হিসেবে রয়েছে রঙ এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো স্টার শোবিজ।
Comments