চলমান রোহিঙ্গা নিধনের মধ্যে সু চির ‘ঝগড়া’ না করার পরামর্শ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীদের নিজেদের মধ্যে ‘ঝগড়া’ না করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধান নেতা অং সান সু চি।
suu kyi
২ নভেম্বর ২০১৭, রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে বিমানবন্দরে সু চি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চলমান হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে প্রাণ বাচাঁতে প্রতিদিনই যখন দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন তখন অং সান সু চি রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীদের নিজেদের মধ্যে ‘ঝগড়া’ না করার পরামর্শ দিলেন। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী জাতিগোষ্ঠীদের নিজেদের মধ্যে ‘ঝগড়া’ না করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধান নেতা অং সান সু চি।

মিয়ানমার সরকার পরিচালিত চলমান গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা যখন প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তখন সংঘাত-পীড়িত রাখাইন রাজ্যে সফরে এসে সু চি আজ (২ নভেম্বর) এই পরামর্শ দিলেন।

দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ঘর-বাড়ি থেকে তাদের উচ্ছেদ করার বিষয়ে নীরব থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বিশ্ব শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রী।

গত ২৫ আগস্ট নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর আজই প্রথম তিনি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে হেলিকপ্টারে চড়ে রাখাইন আসেন। রাজ্যটির রাজধানী শহর সিত্তে থেকে তাঁর মংডুতে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জাতিগত নিধনের শিকার হয়েছেন।

সেখানে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের একজন ধর্মীয় নেতার বরাত দিয়ে মনিটরিং গ্রুপ আরাকান প্রজেক্ট এর ক্রিস লেওয়া বলেন, “পথে অনেক মানুষের জমায়েত হচ্ছে। গাড়ি থামিয়ে তিনি সবার সঙ্গে কথা বলছেন।”

লেওয়ার মতে, “সু চি সবাইকে তিনটি বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি সবাইকে শান্তিতে বসবাস করতে বলছেন। সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান এবং নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে নিষেধ করেছেন।”

অবশেষে, এই সংকট নিরসনে সরকারের পুনর্বাসন এবং শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কথা বলেন সু চি।

এদিকে, প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পেরিয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখেছেন রয়টার্সের আলোকচিত্রীরা।

 

আরও পড়ুন:

রাখাইন সফরে অং সাং সু চি

Comments