লুইস-ডেলপোর্টের তান্ডবে রানের পাহাড়ে ঢাকা

সিলেটের বিপক্ষে অল্প রান করার ঝাল খুলনা টাইটান্সের উপর মিটিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এভিন লুইস আর ক্যামেরন ডেলপোর্টের তান্ডবে এবারের আসরের প্রথম ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জিততে হলে খুলনাকে করতে হবে ২০৩ রান।
এভিন লুইস ও ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দুজনের চালিয়েছেন তান্ডব। ছবি: ফিরোহ আহমেদ

সিলেটের বিপক্ষে অল্প রান করার ঝাল খুলনা টাইটান্সের উপর মিটিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এভিন লুইস আর ক্যামেরন ডেলপোর্টের তান্ডবে এবারের আসরের প্রথম ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জিততে হলে খুলনাকে করতে হবে ২০৩ রান।

তারকাবহুল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও আগের ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা। মাত্র ১৩৫ রান করে সিলেটের কাছে ৯ উইকেটে হার। ঢাকা ডায়নামাইটসের নামডাকওয়ালা ব্যাটসম্যানরা পড়েছিলেন প্রশ্নের মুখে। তবে  কানকথা বড় হতে দেননি, জ্বলে উঠেছেন দ্বিতীয় ম্যাচেই।  এভিন লুইসের সঙ্গে ঝড়ো সূচনার পর কুমার সাঙ্গাকারা ফিরেছেন ২০ রান করে। এরপরের গল্প লুইস আর ক্যামেরন ডেলপোর্টের। খুলনা টাইটান্সের বোলারদের ইচ্ছেমতো পিটিয়েছেন দুজন। ১১ ওভারেই স্কোরবোর্ডে উঠে যায় ১২০ রান। দ্রুত ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। শুরুতে লুইসের তান্ডব বেশি থাকলেও খানিকপর থিতু হয়ে তাকে ছাড়িয়ে যান ডেলপোর্ট। মাত্র ২১ বলে তুলে নেন ফিফটি।

ডেলপোর্টের আগ্রাসন দেখে খানিক থামলেও পরে ফের রুদ্রমূর্তি লুইসের। শফিউলের বল পাঠিয়েছেন মাঠের সবচেয়ে লম্বা দিকের গ্যালারিতে, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ছক্কা।  পরে ৩৯ বলে ৬৬ রান করে সেই শফিউলের বলে টাইমিংয়ে গড়বড়। কাভারে ছুটে গিয়ে তার ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।  

এরপরই ঢাকার ঝড় থামাতে নতুন কৌশল নেয় খুলনা। অফ স্টাম্পের বাইরে ওয়াইড লাইনে বল করে রানার চাকা থামিয়ে রাখার চেষ্টা করেন তারা। কার্লোস ব্রেথওয়েট তাতে সবচেয়ে সফল। তার এক ওভারে রানার চাকা আটকে থাকার পরের ওভারেই আবু  জায়েদ রাহির বলে এলবিডব্লিও হয়ে ফিরে যান ডেলপোর্ট। যদিও রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে রাহির বলটা পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। এই দুজনের আউটের পরই যেন প্রান ফিরে পায় খুলনার বোলাররা। ব্রাথওয়েট পরের ওভারেই আরও তেতে উঠেন। সাকিবকে চেপে ধরে রাখছিল, হতাশা থেকেই ভুল করে বসেন ঢাকার অধিনায়ক। পয়েন্টে লাফিয়ে চৌকস ক্যাচ নিয়েছেন শফিউল ইসলাম।

রকেট গতিতে ছুটতে থাকা ঢাকার চাকা হুট করে মন্থর। সুনীল নারিন নেমে আবার খানিকটা গতি আনেন , নারিনকে ফিরিয়ে গতিতে আবার বাধ সাধেন রাহি। তাতেও ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ফেলে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০২/৭  (সাঙ্কাকারা ২০, লুইস ৬৬, ডেলপোর্ট ৬৪, সাকিব ১,নারিন ১৬, মোসাদ্দেক ১০*,জহুরুল ৩,আবু হায়দার ২*   রাহি ২/২৯, আর্চার ১/,ব্র্যাথওয়েট ১/৩৪) 

Comments