রাখাইনে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করুন: মিয়ানমারকে নিরাপত্তা পরিষদ
রাখাইনে অতিমাত্রায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে মিয়ানমারের প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার এ ব্যাপারে দেশটির কাছে নিশ্চয়তাও চাওয়া হয়েছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর সহিংস অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে গত প্রায় আড়াই মাসে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নির্মূলের উৎকৃষ্ট উদাহরণ আখ্যা দিয়েছে। তবে দেশটি সব অভিযোগ অস্বীকার করে রোহিঙ্গাদের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ১৫ সদস্যের সবার সম্মতিক্রমে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সম্মত হয়েছে। তবে চীন ও রাশিয়ার ভেটো দেওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজুলেশন গ্রহণের প্রস্তাব শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে।
নিরাপত্তা পরিষদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, “রাখাইন রাজ্যে বিশেষ করে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে নিরাপত্তা পরিষদ।”
“মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে সেখানে বেসামরিক প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি নিরাপত্তা পরিষদ আহ্বান জানাচ্ছে।”
মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে সেসবের ব্যাপারে স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও এর জন্য জাতিসংঘের সকল অঙ্গ সংস্থার কাজে সহায়তা করতে বলেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধনে নামে মিয়ানমার। স্যাটেলাইটেও ধরা পড়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার ছবি।
Comments