চিটাগাং ভাইকিংসকে হেসেখেলেই হারাল কুমিল্লা

Liton Das & Josh Butler
রান তাড়ায় শুরুতেই ঝড় তুলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

একসময় মনে হচ্ছিল বিশাল সংগ্রহই পেতে যাচ্ছে চিটাগাং ভাইকিংস। টস হেরে আগে ব্যাট পেয়ে ওদের দুই ওপেনার ৮ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৮০ রান। তবু দেড়শও করতে পারেনি তারা। পথ হারানো ভাইকিংসের দেওয়া ১৪৪ রানের মামুলি টার্গেট কুমিল্লা পেরিয়েছে হেসেখেলেই। স্বাগতিকদের কাছে প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেল তৃতীয় আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

এবারের আসরে এই প্রথম ম্যাচ চিটাগাং ভাইকিংসের। টস হারলেও দুই ওপেনার লুক রঙ্কি ও সৌম্য সরকার তুলেছিলেন ঝড়।  প্রথম ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ছিল ১ উইকেটে ৯১। পরের ১০ ওভারে এসেছে আর মাত্র ৫২ রান। শেষের দিকের এই শ্লথ ব্যাটিংয়ে তখনই ম্যাচের বাইরে তারা। 

কুমিল্লাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বড় অবদান জস বাটলারের। আউট হওয়ার আগে ৪২ বলে ৪৮ রান করেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ১৪ বলে ২৩ রান করে ঝড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন লিটন দাসও। ওপেনিং থেকে ওয়ানডাউনে নেমে ইমরুল কায়েস খেলেছেন রয়েসয়ে।  ৩১ বলে ৩৩ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। চার নম্বরে নামা মারলন স্যামুয়েলস ১৮  বলে ৩৫ রান করলে ১৬ বল হাতে রেখেই জিতে যায় তামিমদের দল। 

এর আগে রকেট গতিতে ছুটতে থাকা চিটগাংয়ের  গাড়িতে জং ধরেছে মূলত দুই ওপেনারের আউটে। ২১ বলে ৪০ রান করে লুক রঙ্কি মোহাম্মদ নবীর নিরিহ এক বলে কাট করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন। ওয়ানডাউনে নামা দিলশান মুনবিরা ২২ বলে করতে পারেন ২১। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-টোয়েন্টিতে রান পাওয়া সৌম্য সরকার এদিনও ছিলেন ছন্দে। রিভার্স সুইপ করে ছক্কা ও চার মেরে শুরু করেন তিনি।  তবে ইম্প্রোভাইজ শট খেলার অতিরিক্ত প্রবণতায় কাল হলো তার। আগের দিন অনুশীলনে বলেছিলেন ৩০/৪০ রানে আউটের ফর্মটা রাখতে চান না। অথচ পরদিনই ফিরেছেন ৩৮ রান করে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে স্কুপ করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটে লাগাতে না পারায় বোল্ড। একই ওভারে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয়ও। ৬ বলে ৩ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লং অনে। খানিকপর ফিরেছেন লুইস রেইস। ইংলিশ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৯ রান করে বোল্ড হয়েছেন ব্রাভোর বলে। যখন দরকার ছিল বড় শট তখন উইকেটে আসেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। মাত্র ৬ রান করে আউট হন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা এই ৬ রান করতে লাগিয়েছেন ১১ বল। প্রথম ১০ ওভারে উড়তে থাকা ভাইকিংসদের ডানা ভেঙ্গে পড়ে এতেই। সিকান্দার রাজা ১৩ বলে ১৮ রান না করলে ১৪০ রানের থেকেও দূরে থাকত তারা।

৪ ওভারের বল করে ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে কুমিল্লার বোলিং হিরো  মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৪৩/৭  (রঙ্কি ৪০, সৌম্য ৩৮,  মুনাবিরা ২১,  বিজয় ৩, মিসবাহ উল হক ৬, রেইস ৯, সিকান্দার রাজা ১৮*,  শুভ ৩, সানজামুল ১; সাইফুদ্দিন ৩/২৪, ব্রাভো ২/২৯, নবী ১/১৮, আল-আমিন ১/২৮)   

চিটাগাং ভাইকিংস:১৪৪/২     (লিটন ২৩, বাটলার ৪৮, ইমরুল ৩১ ,   স্যামুয়েলস ৩৫;  শুভাশিস ২/২৪)  

Comments