ভারতে ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় ৫ বাংলাদেশির সাজা
ভারতের একজন সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ ও স্কুলে ডাকাতির ঘটনায় পাঁচ বাংলাদেশি যুবকের সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে দুটি অপরাধে দশ বছর করে মোট বিশ বছর কারাদণ্ড এবং একজনকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা হলেন নজরুল ইসলাম নজু, ওয়াহিদুল ইসলাম, মিলন সরকার, সেলিম শেখ এবং খালেদুর রহমান। এছাড়াও, সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ব্যক্তির নাম গোপাল সরকার। তাকে দুষ্কৃতিকারীদের আশ্রয় ও ডাকাতির পরিকল্পনার জন্য দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নজরুল ইসলাম নজু ডাকাতি ও ধর্ষণের সঙ্গেও জড়িত ছিল। তাই তাকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন সাজা।
২০১৫ সালে ১৩ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রাণাঘাটে একটি মিশনারি স্কুলে একদল দুষ্কৃতিকারী ডাকাতির পরিকল্পনা নিয়ে প্রবেশ করে এবং সেখানে ৭৫ বছর বয়স্কা প্রধান সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার নগর দায়রায় আদালতে বিচারক কুমকুম সিং ঘটনার সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত ছয় জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন এবং আজ (৮ নভেম্বর) দুপুরের তাদের সাজার রায় দেন।
বিচারক বলেন, যে রাজ্যে মাদার তেরেসা, সিস্টার নিবেদিতা কাজ করে গিয়েছেন সেই রাজ্যে আর্ত, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে এই আচরণ অত্যন্ত লজ্জার ও দুর্ভাগ্যজনক।
সরকারপক্ষের আইনজীবী অনিন্দ রাউত বলেন, এ রায়ে তারা খুশি। এ ঘটনার তদন্তে রাজ্য সিআইডি যে ভূমিকা নিয়েছিল তা এক কথায় অসাধারণ। পাঁচজন বাংলাদেশিকে যে কৌশলে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটিও নজিরহীন।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী রাজিব সিং জানান, রায়ের কপি পাওয়ার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এ রায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি মিশনারির সেই সন্ন্যাসিনীর সহ-সন্ন্যাসিনীরাও।
Comments