খেলা

ক্ষমা চেয়ে শুভাশিস বললেন, ‘সরি ভাই, সরি ভাই’

বেশিরভাগ পেস বোলাররা যেমন। খেলতে নামলে আগ্রাসী, কিন্তু খেলার বাইরে মিনমিনে। শুভাশিস রায় তেমনি মুখচোরা স্বাভাবের মানুষ। খুব একটা বাকপটু নন, ক্যামেরার সামনে তো আরও নয়। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে মাশরাফির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে তিনি এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। গুরু মাশরাফিকে চোখ রাঙানোয় ফ্যাসাদে পড়েছেন বেশ। হোটেলে ফিরে কাচুমুচু হয়ে টাইগার কাপ্তানকে ‘সরি ভাই, সরি ভাই’ বলে মুখে ফেনা তুলেছেন। যদিও এই ঘটনায় সিনিয়র হিসেবে মাশরাফি নিজে তার দায়ই দেখছেন বেশি।
Mashrafee-Suvasish

বেশিরভাগ পেস বোলাররা যেমন খেলতে নামলে আগ্রাসী, কিন্তু খেলার বাইরে মিনমিনে। শুভাশিস রায় তেমনি মুখচোরা স্বাভাবের মানুষ। খুব একটা বাকপটু নন তিনি। ক্যামেরার সামনে তো আরও নন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে মাশরাফির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে তিনি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। গুরু মাশরাফিকে চোখ রাঙানোয় ফ্যাসাদে পড়েছেন বেশ। হোটেলে ফিরে কাচু-মাচু হয়ে টাইগার কাপ্তানকে “সরি ভাই, সরি ভাই” বলে মুখে ফেনা তুলেছেন। যদিও এই ঘটনায় সিনিয়র মাশরাফি নিজে তাঁর দায়ই দেখছেন বেশি।

ম্যাচ শেষে হোটেলে ফিরে শুভাশিস, তাসকিন, বিজয়দের নিয়ে গিয়েছিলেন মাশরাফির কাছে। তাঁর মোবাইল দিয়েই তাসকিন প্রথমে যান ফেসবুক লাইভে। তবে লাইভে গিয়েই ভড়কে যান শুভাশিস, কি বলবেন তিনি? বাকপটু তাসকিন তখন খুনসুটিতে মশগুল। তখনই শুভাশিসকে বাঁচিয়েছেন মাশরাফি। ‘বড় ভাই’ আসতেই বললেন ভাই আপনি বলেন, আপনি বলেন। মাশরাফি শুভাশিসকে সব কিছু ভুলে যেতে বললেন। আর শুভাশিস মাশরাফিকে বললেন, “সরি ভাই, সরি ভাই।”

এর আগে নিজের ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মাশরাফি বলছেন, “যে কারণে ভিডিওটি করা কারণ মনে হচ্ছে মানুষের কাছে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। শুভাশিসও বাংলাদেশের হয়ে খেলে, তারও ভালোবাসা প্রাপ্য। আমি প্রেস কনফারেন্সেও বলে এসেছি আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে আমার ওইভাবে রিয়েক্ট করা উচিত হয়নি। কারণ শুরুটা আমার থেকেই হয়েছে। সে হয়তবা বলটা ধরে থ্রু করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি যদি ওইভাবে রিঅ্যাকশনটা না দিতাম তাহলে সে চলে যেত। আশা করছি, আপনারা জিনিসটা বুঝতে পারবেন। আমার মনে হয় মাঠের ব্যাপার মাঠেই রাখা উচিত।”

বিপিএলের সিলেট পর্বের শেষ দিনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মাশরাফির রংপুর রাইডার্স এবং শুভাশিসদের চিটাগাং ভাইকিংস। রান তাড়ায় ম্যাচ যখন উত্তেজনায় ঠাসা। ১৭তম ওভারে মাশরাফিকে বল করছিলেন শুভাশিস। ম্যাচ দোলাচলে। চিটাগাং ভাইকিংসের পেসার শুভাশিস রায়ের ইয়র্কর লেন্থের বলটি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি। বল ধরে তেড়েফুঁড়ে স্টাম্পে ছুঁড়ে মারার ভঙ্গি করেন শুভাশিস। মাশরাফি তাকে বোলিং প্রান্তে ফেরার ইঙ্গিত করতেই রেগেমেগে তেড়ে আসেন চিটাগাং ভাইকিংসের পেসার। ফিল্ডার আম্পায়াররা এসে তাকে সরিয়েছেন। তখনো চলছিল শুভাশিসের গর্জন। এমন দৃশ্যে তখন হতবাক হন সবাই। পরে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় সিনিয়র হিসেবে তারই শান্ত থাকা উচিত ছিল, এমনকি শুভাশিসকে তার ‘সরি’ বলাও উচিত।

আরও পড়ুনঃ

আমারই তাকে সরি বলা উচিত: মাশরাফি​

শুভাশিসও বাংলাদেশের হয়ে খেলে, তারও ভালোবাসা প্রাপ্য: মাশরাফি​

Comments