ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচে রাজশাহীকে কাবু করল কুমিল্লা

আগেরদিন সন্ধ্যায় ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচে তবু দর্শক হয়েছিল। এদিন গ্যালারির বেশিরভাগ আসনই ফাঁকা। উত্তাপহীন গ্যালারির মতো নিস্তেজ ব্যাট বলের লড়াইও। তাতে ৯ উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বল হাতে কাজটা সেরেই রেখেছিলেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। মামুলি রান তাড়ায় কোন চাপ ছিল না। কুমিল্লাও টার্গেট ছুঁয়েছে ধীরস্থির গতিতে।
ঝড়ো শুরুর পর আউট হন লিটন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগেরদিন সন্ধ্যায় ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচে তবু দর্শক হয়েছিল। এদিন গ্যালারির বেশিরভাগ আসনই ফাঁকা। উত্তাপহীন গ্যালারির মতো নিস্তেজ ব্যাট বলের লড়াইও। তাতে ৯ উইকেটে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বল হাতে কাজটা সেরেই রেখেছিলেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীরা। মামুলি রান তাড়ায় কোন চাপ ছিল না। কুমিল্লাও টার্গেট ছুঁয়েছে ধীরস্থির গতিতে।

টার্গেট মাত্র ১১৬। জস বাটলারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন লিটন দাস। প্রথম ১২ বল তিনিই খেললেন। তাতে দুটি করে ছক্কা আর চারে ২৩ রান। ফরহাদ রেজার উপর দিয়েই গেছে সবটা। লিটনকে ফিরিয়েছেন ফরহাদই।  ভেতরে ঢোকা বলের দুর্বলতা কাটাতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এবারও বোল্ড হয়েছেন সেরকম একটি বলে।

ওই একটাই বিপর্যয়। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে বাকিপথ নির্বিঘ্নে পাড়ি দিয়েছেন জস বাটলার।  ৩৯ বলে ফিফটি পেয়ে অপরাজিত ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। মন্থর ব্যাটিং করে ইমরুল অপরাজিত থাকেন  ৪৪  রান করে। কুমিল্লার খেলার জন্য তখনো পড়েছিল ২৯ বল। এই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচ থেকে দুই জয় পেয়ে গেল কুমিল্লা। চার খেলায় রাজশাহী পড়ে থাকল এক জয় নিয়েই।

রাজশাহীর ইনিংসের শুরুতেও ঝড় তুলেছিলেন লেন্ডল সিমন্স। ২৩ বলে ৪০ রান করার পর পেশিতে টান পড়ে তার। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপরও স্ট্রেচারে শুয়ে পড়ার দশা রাজশাহীর ইনিংসেরও। ২ উইকেটে ৫০ থেকে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড হয়ে গেল ৫ উইকেটে ৬৯। ১০০ রানের আগে পড়ল সাতটি। লেগ স্পিন দিয়ে ইনিংসের মাঝপথে এসে কিংসদের ভড়কে দেন মূলত রশিদ খান। চার ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে দেন এক উইকেট।  পেতে পারতেন আরও, তার বলে যেন কোনমতে আউট হতে হতে বেঁচেছেন ব্যাটসম্যানরা।

উইকেট পতনের শুরুটা অবশ্য আগের ম্যাচের হিরো মুমিনুল হককে দিয়ে। মোহাম্মদ নবীর বল এলোপাথাড়ি পেটাতে গিয়ে ফিরেছেন তিনি। আল-আমিনের বলে রনি তালুকদার ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। মুশফিকুর রহিম তিন চার মেরে দেখাচ্ছিলেন বড় কিছুর ইঙ্গিত। বল করতে এসেই তাকে ভুগাতে শুরু করেন রশিদ খান। নাজেহাল করে মুশফিককে আউট করেছেন আফগান লেগি। পরের বলেই উলারকে আউট হয়েছেন টার্নে  থতমত হয়ে। প্রথমে স্টাম্পিং দেওয়া হলেও পরে জানানো হয় উলার হয়েছেন রানআউট।

রশিদের বলে পাশাপাশি ওদিকে উইকেট তুলা শুরু করেন নবী –ব্রাভোরাও। রাজশাহীর ইনিংস তখন যায় যায় অবস্থা। তাতে অক্সিজেন যোগান দিতে পারেননি কেউ। কোনমতে ২০ ওভার পার করে পার পেয়েছেন ফরহাদ রেজা। এই অলরাউন্ডার  ৩০ বলে ২৫  রান করে কেবল দলকে ১০০ রান পার করেছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী কিংস:১১৫/৭ (সিমন্স, মুমিনুল ২, রনি ০,  মুশফিক ১৬, ফ্রাঙ্কলিন ৭, মিরাজ ৬,  উলার ১, ফরহাদ ২৫*, নিহাদ ২, সামি ১০*;  নবী ৩/১৫, রশিদ ২/৭, আল-আমিন ১/২৪) 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:১২০/১ (লিটন ২৩, বাটলার ৫০*, ইমরুল ৪৪*; ফরহাদ ১/৩১)

টস: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ:

Comments

The Daily Star  | English

How Hasina’s flight was kept off radar

Zgitalyma Islam and Partha Pratim Bhattacharjee.When the air force transporter plane carrying Sheikh Hasina left Dhaka on August 5, it took off as a training flight and turned off its transponders to blur its flightpath and location..The transponders, which transmit location, heading

3h ago