হাথুরুকে মিস করবেন মিনহাজুল
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বিপিএলে ব্যস্ত আছেন চিটাগাং ভাইকিংস নিয়ে। তবে যেহেতু প্রধান নির্বাচক জাতীয় দলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পদত্যাগ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও তাকে মিস করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হাথুরুসিংহের আকস্মিক পদ ছাড়ায় সবাই হতবাক কিন্তু কেউই নিজের মত জানাতে চাইছেন না। প্রধান নির্বাচকও এই ইস্যুতে ব্যাট করলেন রয়েসয়ে, 'কোচের উপরটা পুরোপুরি বোর্ডের বিষয়। সময় হলে সঠিক ব্যাপারটা জানা যাবে। আমার মনে হয় এখন এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'
প্রথমে নির্বাচকমণ্ডলীর একজন পরে প্রধান নির্বাচক। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে দল নির্বাচন নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হয়েছে মিনহাজুলের। এসেছে বড় সাফল্য। সেই সম্পর্কের জায়গা থেকেই এই কোচকে মিস করবেন তিনি, 'অবশ্যই মিস করবো। ওর সময়ে আমাদের ভালো দিন গেছে। সুতরাং তাকে তো মিস করবোই।'
বিপিএলে দেশি কেউ খুব একটা আলো কাড়তে পারেননি। চিটাগাং ভাইকিংসের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মিনহাজুলকে জাতীয় দলের কথাও ভাবতে হবে। তা কি পাচ্ছেন তিনি?
'আমার মনে হয়, আমরা যদি এই টুর্নামেন্ট থেকে দুই তিনজন ভালো পারফর্মার পাই, সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে। যেহেতু সব টিমেরই ফ্রন্টলাইনে বিদেশিরা খেলছে, সেহেতু দেশি খেলোয়াড়দের জন্য পারফর্ম করা কষ্টকর। তাদের খুব পরিশ্রম করতে হচ্ছে।'
এবার প্রতিদলে পাঁচজন বিদেশি। দেশি ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছেন কম। যারা খেলছেন তাদেরও টপ অর্ডারে জায়গা করা হয়ে যাচ্ছে কঠিন, 'সব দলের ফ্রন্টলাইনে ফরেইন প্লেয়াররা ডমিনেট করছে। এই জিনিসটা কমতো, যদি আরেকটা দল থাকতো। দল কম থাকায় প্রেশারটা চলে আসছে। সুযোগ পেলে ভালো খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।'
তবে টুর্নামেন্ট এগুলো পারফরম্যান্সের বিচার আরও সহজ হবে বলেও মত তার, 'একেকটা দল অন্তত ১২টা করে ম্যাচ পাবে। এখন পর্যন্ত তিনটা করে খেলা গেছে। আমার মনে হয় যে, অন্তত ৭০ ভাগ ম্যাচ শেষ না হলে পারফর্ম মূল্যায়ন করতে পারবেন না। কারণ টি-টোয়েন্টিতে একজন খেলোয়াড় খুব কম সুযোগ পায়। সুতরাং একটা দুইটা ম্যাচ দেখে বিচার করা যাবে না। এতো শর্টার ভার্সন, এখানে সব কিছু অনেক কঠিন। আমার মনে হয় খেলোয়াড়দের আরো মনোযোগ বাড়ানো উচিত, আরো পারফর্ম করা।'
Comments