বিশ্বকাপে যেতে পারল না চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি

Italy Football
ইতালির ফুটবলারদের সঙ্গী চোখের জল। ছবি: এএফপি

শেষ বাঁশি বাজতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা কিয়েল্লিনি। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন জিয়ানলুইজি বুফোন। কষ্টটা তারও কম না। খেলা ছাড়ার আগে আরও একটি বিশ্বকাপ খেলা হলো না তার। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্লে অফে এসে খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছিলো ইতালি। সেখানে প্রথম লেগে সুইডেনের কাছে ১-০ গোলে হার। এবার ঘরের মাঠে গোল শূন্য ড্র। রাশিয়া বিশ্বকাপ হবে ইতালিকে ছাড়াই। ইতালিয়ানদের কাবু করে ১২ বছর পর আবার বিশ্বকাপের টিকেট কাটল সুইডিশরা। 

১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ইতালিকে ছাড়া হতে যাচ্ছে কোন বিশ্বকাপ। এবারো ইতালির বিশ্বকাপ না খেলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকল সুইডেন নামটি। ইতালির দুঃখ সুইডেন তাই বলাই যায়। 

কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন ইতালিয়ান ফুটবলাররা। ছবি: এএফপি
সোমবার রাতে মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া  কয়েক হাজার দর্শকের জন্য হয়ে থাকল কান্নার রাত। চোখের জল ফেলেছেন মিলান, রোম সব শহরের মানুষই। ম্যাচজুড়ে প্রাধান্য ইতালিরই ছিল । দুই অর্ধেই বল দখলে রেখে একচেটিয়া খেলা যায় বুফোনরা। কিন্তু গোলমুখে এসে যেন তাদের সব আক্রমণই খেই হারিয়ে ফেলে। মোট ২৭টি শট নিয়ে একটিও জালে ঢুকাতে পারেনি তারা। ৮০ মিনিট থেকে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মুহুর্মুহু আক্রমণ করে গেছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাম প্রান্ত থেকে বল নিয়ে বারবার ডিফেন্স চেরা পাস দিয়েছেন কিয়েল্লিনি। কাজে লাগাতে পারেননি বেলোত্তিরা। ৮৭ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার স্টিফেন শারওয়ের তীব্র শট সুইডিশ গোলরক্ষক অলসেন অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দেন। গোলকিপারের কারণে গোলবঞ্চিত হন বেলোত্তিও। এরআগে ৮৩ মিনিটে পারলোর তীব্র হেডও ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। 

সবচেয়ে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল। এরপরই চারবার করে বিশ্বকাপ জিতে যৌথভাবে দুইয়ে আছে জার্মানি ও ইতালি। এরআগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপ ছাড়া সব আসরেই খেলেছে ইতালিয়ানরা। ছয় যুগ পর ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে দেখা যাবে না আজ্জুরিদের। ২০০৬ বিশ্বকাপে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয় বুফোন, ফ্যাবিয়ান ক্যানেবারো রক্ষণ শিল্পের ইতালি। এরপরের দুই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে তারা। এবার তো পেরুতে পারল না বাছাইপর্বও। 

 

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

6h ago