জিম্বাবুয়েতে সেনা অভ্যুত্থান!
জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, অপরাধীদের দমন করতে তারা মাঠে নেমেছে। তবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের কথা তারা অস্বীকার করেছে। অপরাধীদের দমন করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলেই তারা ব্যারাকে ফিরে যাবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে নিরাপদে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রদূতও সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তার দেশের সরকার অক্ষত রয়েছে।
বুধবার সকালে রাজধানী হারারের উত্তর দিক থেকে ভারি গুলিবর্ষণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।
জেডবিসি’র সদরদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘণ্টাখানেক পর মেজর জেনারেল সিবুসিসো মোয়োর একটি বিবৃতি সম্প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, “আমরা দেশবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে রাষ্ট্রপতি... ও তার পরিবার সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতির আশপাশে থেকে যারা বিভিন্ন অপকর্ম করে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি করে চলেছেন শুধুমাত্র তাদেরকে সাজা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের উদ্দেশ্য পূরণ হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করছি।”
রয়টার্সের খবরে আরও জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট মুগাবের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সেনাপ্রধানকে দেশদ্রোহী বলার পর থেকে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান চালানোর হুমকি দেন সেনাপ্রধান। সেনাপ্রধানের হুমকির মাত্র ২৪ ঘণ্টা পরই রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের দখল নেওয়া হল। রাজধানী হারারের রাজপথে এখন সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
তবে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী ইগনাতিয়াস চোম্বোর তাদের মধ্যে রয়েছেন।
সেনা অভিযানে ঠিক কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেটিও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
Comments