কলকাতা-খুলনা রুটে বন্ধনের প্রথম দিন

কলকাতা থেকে ৫৩ জন যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে সেখান থেকে আবার ২৭৪ জন যাত্রী তুলে কলকাতার পথে রওনা হল কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সন্ধ্যার আগে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে পৌঁছাবে বন্ধন এক্সপ্রেস।
কলকাতা-খুলনা ট্রেন সার্ভিস বন্ধন এক্সপ্রেস
কলাকাতার চিৎপুর স্টেশনে ফুল দিয়ে সাজানো হয় কলকাতা-খুলনার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেসকে। ছবি: স্টার

কলকাতা থেকে ৫৩ জন যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে সেখান থেকে আবার ২৭৪ জন যাত্রী তুলে কলকাতার পথে রওনা হল কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সন্ধ্যার আগে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনে পৌঁছাবে ট্রেনটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল  ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা পৌঁছায় ট্রেনটি। সেখান থেকে আবার ২৭৪ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার পথে রওনা হয় বন্ধন।

প্রথম দিন এই যাত্রী সংখ্যা কম থাকাটা স্বাভাবিক মনে করেন ভারতের পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা। আগামীতে যাত্রী সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথম দিন ৪০৩টি আসন ফাঁকা গিয়েছে। যাত্রী ছিলেন ৫৩ জন। এটা খুব স্বাভাবিক। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের প্রথম দিকেও একইভাবে যাত্রী সংখ্যা কম ছিল। খুলনা রুটেও যাত্রী পাওয়া যাবে বলে আশা করেন ওই কর্মকর্তা।

কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধনের পরীক্ষামূলক যাত্রার শুরু হয় ৯ নভেম্বর। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ট্রেনের যাত্রা উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রেনের ১০টি বগিই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে ৩১২টি এসি চেয়ার ও ১৪৪টি প্রথম শ্রেণির এসি।

কলকাতা–খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে এবং ৭৭ কিলোমিটার ভারতের।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫২ বছর পর সে পথেই নতুন রূপে চালু হল যাত্রীবাহী ট্রেন। কলকাতা-ঢাকা রুটের মৈত্রীর এক্সপ্রেসের মতো কলকাতা-খুলনা রুটের বন্ধন ট্রেনের যাত্রীদেরও প্রান্তিক স্টেশনে শুল্ক ও অভিবাসন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago