লো স্কোরিং ম্যাচ হলেই নার্ভাস থাকেন তামিম
![Tamim Iqbal and Salauddin Tamim Iqbal and Salauddin](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/tamim_salauddin.jpg?itok=Dd3ohXSn×tamp=1514891528)
কুমিল্লার সামনে টার্গেট ছিল মাত্র ১২৯ রানের। সে রান তাড়ায় জেতার কথা ছিল হেসেখেলেই। অথচ শেষ ওভারে গিয়ে তবে সমীকরণ মেলাতে হয়েছে তাদের। কম রান হলেই নাকি মারব না ধরব দ্বিধায় থাকেন ব্যাটসম্যানরা। ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন এসব ম্যাচে স্নায়ুচাপে ভোগেন তিনি।
১২৯ রান তাড়ায় শুরুটা ঝড়ো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু দ্রুত দুই উইকেট পড়ার পর মন্থর হয়ে যায় রানের চাকা। শেষের দিকে দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়তে যাচ্ছিল তামিমরা। টানাপোড়নের মধ্যে ম্যাচে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, ‘যখনই ১২০/১৩০ এর খেলা হয় আমি নার্ভাস থাকি। কারণ কেয়ারফুলি খেলতে গিয়ে প্রেসারটা বেড়ে যায়। আমি দ্রুত ২০/৩০ রান করে এগিয়ে রাখতে চাইছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা আবারও তেমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলাম।’
কুমিল্লাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন শোয়েব মালিক। ৫৩ বলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ৫৪ রান করে, ‘যেভাবে হেন্ডেল করেছে ইয়ং স্টারদেরও শেখার বিষয় আছে। ওর (মালিক) কাছ থেকে আমি এমনটাই আশা করি। আসলে টি-টোয়েন্টিতে যে খালি ছয়/চার মেরেই যে ম্যাচ জিততে হবে তা না। ও আমাদের দলে আছে, একটা সম্পদ। তবে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরেকটু চতুর হওয়া দরকার ছিল।’
মালিকের আগেই অবশ্য কুমিল্লার অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন হাসান আলি। ২০ রান দিয়ে পাকিস্তানি পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট। যার পাঁচটাই বোল্ড, ‘হাসান আলি পাঁচ উইকেট নিয়েছে, পাঁচটাই বোল্ড। আর কেউ এমন করতে পারত কিনা জানা নাই। সে খুব সিম্পল বল করেছে, একটা প্লান ছিল। কাজে লাগিয়ছে।’
ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো হচ্ছে না লিটন দাসের। টানা দুই ম্যাচে আউট হয়েছেন একইভাবে। অধিনায়ক অবশ্য মনে করেন ভুল থেকে দ্রুত শিখবেন তিনি, ‘আমরা সবাই জানি লিটন তুখোড় খেলোয়াড়। তবে শুরুতে যদি ওভাবে আউট হয় তবে চাপ বেড়ে যায়। আমি আশা করব পরে সুযোগ পেলে সে ভুলগুলো শুধরোরে নিবে।’
ছয় ম্যাচের পাঁচটাই জিতে তামিমের কুমিল্লা আছে টেবিলের এক নম্বরে। তবু নাকি এখনো চিন্তামুক্ত নন তামিম। টুর্নামেন্টের বাকি আছে অনেক খেলা। উলটপাল্টের বাকি আছে আরও, ‘খেলাটা এমননি। গতবার আমি চিটাগাংয়ে খেলেছি। একটা সময় টানা চার ম্যাচ হেরে মনে হচ্ছিল কোনভাবেই আমরা আগাতে পারব না। পরে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে মনে হচ্ছিল আমরা টপ টুতে থাকব। আপনি যদি একটা ম্যাচ হারেন, আরেক ম্যাচ হারেন তাহলে প্রেসার চলে আসবে। ১২/১৪ পয়েন্ট না পাওয়া পর্যন্ত রিলাক্স হওয়ার সুযোগ নাই। এখন আমাদের ১০ পয়েন্ট। ১৪ পয়েন্ট হলে তবে নিশ্চিন্ত। ’
Comments