‘ক্লোজ ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ’
টুর্নামেন্টের শুরুতে খুব একটা গোনায় ছিল না খুলনা টাইটান্স। নামে ভারে মাঝারি দল নিয়েও ৮ ম্যাচ থেকে পেয়ে গেছে পাঁচ জয়, আছে টেবিলের এক নম্বরে। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে পাচ্ছেন রান, ফলও মিলছে একের পর এক।
গেল আসরেও কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচ জিতেছিল মাহমুদউল্লাহর দল। এবারও ক্লোজ ম্যাচ হলেই স্নায়ুচাপ ধরে রেখে জিতেই চলেছে খুলনা। টানা তিন নম্বর জয়ের দিন রংপুরকে তারা হারিয়েছে ৯ রানে, ‘ভালো লাগছে। দলের জন্য অবদান রাখতে পারছি। ক্লোজ ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচেও আরিফ দারুণ ফিনিশ করেছি। আজকেও ম্যাচটা তাদের গ্রিপে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জোফ (জোফরা আর্চার) ও জুনায়েদ খুবই ভালো বোলিং করেছে।’
বোর্ডে আছে কেবল ১৫৮ রানের পূঁজি। প্রতিপক্ষ দলে ক্রিস গেইল, ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের মতো তারকা। তবু নাকি আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ছিলেন মাহমুদউল্লাহারা, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল। হ্যাঁ...ওদের টপ অর্ডার খুব শক্তিশালী। অনেক বড় নাম আছে। শুরুতে চারটা উইকেট যখন আমরা নিয়েছিলাম, সবাই ভাল বোলিং করেছে। কিন্তু মাঝখানে আরেকটু ভালো বোলিং করা দরকার ছিল। না হলে ম্যাচ এত ক্লোজ হতো না। ’
কি ফন্দি এঁটে গেইল-ম্যাককালামকে ফেরালেন। তা অবশ্য খোলাসা করেননি টাইটান্স অধিনায়ক, ‘ওদের আউট করতে অবশ্যই প্লানিং ছিল। কিন্তু প্ল্যানিং সব প্রকাশ করলে তো সমস্যা । যেটা বলতে পারি ঠিক জায়গায় বল করার প্ল্যান ছিল। সবাই জানি ম্যাককাকাম-গেইল কতটা বিধ্বংসী। তাই তড়িঘড়ি উইকেট নেওয়া দরকার ছিল। ’
২০ ওভারের ম্যাচে যেকোন সময় পাল্টাতে পারে রঙ। পরিস্থিতি যাইহোক, মাহমুদউল্লাহ ইতিবাচক থাকার মন্ত্র আউড়েই পান সাফল্য, ‘আপনি ম্যাচ জিততেই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জিনিসটা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বোলাররা বল করবে, চার-ছয় হবে। কিন্তু আপনার আপ্রোচটা কতটা ইতিবাচক, শরীরী ভাষা কি ঠিক করছেন এইগুলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওদের বোপারা ধারাবাহিক রান করছে, নাহিদুল প্রথম ম্যাচে নেমেই রান পেল। প্লানিং এর মধ্যে থেকেও মার খেতে পারেন যদি ঠিকঠাক প্রয়োগ না হয়। তবে প্লানের বাইরে গেলে কোন কিছু আপনাকে হেল্প করবে না।’
Comments