বিডিআর বিদ্রোহ: দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের চক্রান্ত
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bdr-wb.jpg?itok=TEivSoKF×tamp=1511757935)
২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ ছিল সেসময়কার ৪৮দিন বয়সী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ছিল দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য ছিল হুমকি। বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণায় এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, আইনের শাসন অমান্য করে, বাংলাদেশ রাইফেলসের জাওয়ানেরা ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন মেধাবী কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেন। এটি ছিল রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের চক্রান্ত।
তিনি বলেন বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্য ছিল, “নবনির্বাচিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে অস্থিতিশীল করা”, “দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা” ও “জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্ত করা।”
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় দিচ্ছেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। দ্বিতীয় দিনের মত আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে রায় ঘোষণা শুরু হবে। অভিযুক্ত ও আসামীর সংখ্যার দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা আজকেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। নিহতদের মধ্যে ৫৭ জন ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। পরবর্তীতে আধাসামরিক বাহিনীটির নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।
Comments