‘এস আলম গ্রুপের অর্থের উৎস খতিয়ে দেখছে সরকার’

সরকার এস আলম গ্রুপের অর্থের উৎস ক্ষতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। স্টার ফাইল ছবি

এস আলম গ্রুপের অর্থের উৎস কি তা সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

গতকাল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমার মনে হয় বেশিরভাগটাই [এস আলম গ্রুপের অর্থ] অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া।”

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তাদের আয় সম্পর্কেও জানতে উদ্যোগ নিয়েছি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

গত কয়েক বছরে দেশের অর্থবাজারে এস আলম গ্রুপের কর্মকাণ্ড মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার কেনার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অধিগ্রহণ করেছে চট্টগ্রামভিত্তিক এই গ্রুপটি। সর্বশেষ সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের ৫০ শতাংশ শেয়ার কিনেছে এস আলম গ্রুপ। এর পর ৩১ অক্টোবর শরীয়াভিত্তিক ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের রদবদল আসে। ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন বেলাল আহমেদ। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের জামাতা।

বাজার দরে এসআইবিএল এর প্রায় ৩৭ কোটি শেয়ার কিনতে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে তারা।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ইসলামি ব্যাংকের বড় অংশের শেয়ার কিনে নিয়ে ব্যাংকটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এস আলম গ্রুপ। অভিযোগ রয়েছে সাতটি কোম্পানির নামে তারা এই ব্যাংকের শেয়ার কিনেছে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানির অস্তিত্ব শুধু কাগজে-কলমেই রয়েছে।

এছাড়াও আরও পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে। ব্যাংকগুলো হল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ও আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ নিজেও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার এক ভাই আব্দুস সামাদ আল আরাফা ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান। মাসুদের মেয়ে ও এক জামাতা আরও দুটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago